নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি চাকরি পূর্বের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।অস্পষ্টতা সৃষ্টি করা ‘অনানুগত্য’ শব্দটি তুলে দিয়ে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে সরকারের ‘বৈধ আদেশ’ অমান্য করাকে ‘সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর আগে ২২ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং (আইনি মতামত) নেওয়া সাপেক্ষে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
গেজেটে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ধারা ৩৭ক এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৭ক প্রতিস্থাপিত হবে, যথা-
“৩৭ক। সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান
এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী— ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা তার বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা এসব কাজে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন, অথবা ছুটি বা যুক্তিসংগত কোনো কারণে ব্যতীত অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে নিজ কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন, অথবা যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য পালনে বাধাগ্রস্ত করেন, তা হলে তা হবে ‘সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ’। আর এ জন্য তাঁকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনতিকরণ বা বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া বা চাকরি হতে বরখাস্ত করা যাবে।
এনডিটিভিবিডি/২৪জুলাই/এএ