২৯ জানুয়ারি ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ এশিয়ার ফুটবলের শীর্ষ আসর এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
২৯ জানুয়ারি ২০১০ থেকে ২ জুলাই ২০২৫। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে মিয়ানমারের থুন্না স্টেডিয়াম। দুটি তারিখ আর দুটি ভেন্যু জড়িয়ে থাকছে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ইতিহাসের সঙ্গে।
মাত্র ১৫ বছরে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি টপকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এশিয়া অঞ্চল। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগে দুইবার অংশ নিয়ে যেখানে ৫ ম্যাচে কোনো জয়ই পায়নি, সেখানে তৃতীয় আসরে টানা দুই জয়ে নিশ্চিত করেছে চূড়ান্ত পর্বে খেলা।
এই অর্জনের পথে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আরো দুটি সাফল্য আছে। দুইবার বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে এই অঞ্চলের দুই শীর্ষ দল ভারত ও নেপালকে টপকিয়ে।
আগামী বছর ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার তিন শহরের ৫ ভেনন্যুতে হবে ২১ তম এশিয়ান কাপ। যেখানে খেলবে এশিয়ার সেরা ১২ দেশ। সরাসরি খেলবে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া, সর্বশেষ এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় জাপান। বাকি ৮ দল উঠবে বাছাই থেকে। বাছাই পর্ব থেকে সবার আগে যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
'সি' গ্রুপ থেকে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার ফেবারিট ছিল স্বাগতিক মিয়ানমার। বুধবার সেই মিয়ানমারকে ২-১ গোলের হারিয়ে বাংলাদেশ ছিনিয়ে নিয়েছে চূড়ান্ত পর্বের চাবি। শক্তিতে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিতে এই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল একবারই এশিয়ান কাপে খেলেছে। ১৯৮০ সালে কুয়েতে খেলার পর আর কখনো শীর্ষ আসরে যেতে পারেনি। ছেলেদের এশিয়ান কাপের বাছাইও চলছে। তবে প্রথম দুই ম্যাচের একটিতে ড্র আর একটিতে হেরে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ছেলেরা যখন হাবুডুবু খাচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে, মেয়েরা তখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিজয় উদযাপন করছে।
এবারের বাছাইয়ে বাংলাদেশ নিজেদের রেকর্ডের পর রেকর্ড করেছে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম গোল করেছে, প্রথম ম্যাচ জিতেছে এবং সর্বশেষ এক ম্যাচ হাতে রেখেই চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে।