নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি শিশু-কিশোরদের জন্য নতুন সাংস্কৃতিক উদ্যোগ ‘ইচ্ছেতলা’ শুরু করেছেন। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত এটি মূলত একটি সৃজনশীল শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে ছোটরা নাচ, গান, অভিনয়, আঁকাসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেয়।
এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মঞ্চে আনছে নাটক ‘বনের ধারে নদী’। এটি মঞ্চস্থ হবে ২৫ জুলাই, ঢাকার বেইলি রোডের মহিলা সমিতির মঞ্চে। প্রথম শো বিকেল সাড়ে ৫টায়। দ্বিতীয়টি একই দিন একইস্থানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে।
নাটকটি রচনা করেছেন সৌমিত্র বসু। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে একটি বন ও তার পাশের নদী। বনে বাস করে হাতি, হরিণ, নেকড়ে, খরগোশ, প্রজাপতিসহ নানা প্রাণী। হঠাৎ নেকড়ে দাবি করে বসে নদীটি শুধু তার। এরপর হাতির সঙ্গে শুরু হয় বিরোধ। ঠিক তখনই বন্দুক হাতে বনে হাজির হয় মানুষ। তারাও দাবি করে, নদীটি কেবল মানুষের সম্পত্তি। এভাবেই শুরু হয় এক ভয়ংকর সংঘাত।
নাটকটির নির্দেশনায় রয়েছেন মো. ফরহাদ আহমেদ শামীম। মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায় আছেন মো. সাইফুল ইসলাম, সংগীতে দেবাশীষ দেব। প্রযোজনা অধিকর্তা সানজিত সুপ্ত। নির্দেশনায় উপদেষ্টা হিসেবে আছেন আফসানা মিমি নিজেই। মঞ্চে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছে ইচ্ছেতলার শিশুশিল্পী হৃদো, রাজকন্যা, দিব্য, প্রাপ্তি, অরুদ্ধ, যাইফ, সাচমিন, আরিবা, নামিরা, আনাস, আরুশা, আহনাফ, অনুষ্কা, ঐশী, জয়িতা, অনায়া প্রমুখ।
‘ইচ্ছেতলা’ নিয়ে মিমি বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য আনন্দময় এক মুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখি আমি। ওরা যেন নিজের ভাষায় জীবনকে বুঝতে পারে, নিজেকে প্রকাশ করতে শেখে, সেই চেষ্টাই করছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আসলে নতুন প্রজন্মের চেয়েও বেশি বার্তা দিতে চাই অভিভাবকদের। শুধু পড়ালেখা নয়, শিশুদের সুস্থ বিকাশের জন্য খেলাধুলা কিংবা সংস্কৃতিচর্চায় যুক্ত থাকা খুব জরুরি। আমি যেহেতু সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করি, তাই এখানেই মনোযোগ দিচ্ছি। খেলোয়াড় হলে খেলাধুলা নিয়েই কাজ করতাম।’
‘বনের ধারে নদী’ দিয়ে শুরু হলেও ‘ইচ্ছেতলা’ আরও অনেক শিশুতোষ প্রযোজনা ও কর্মশালা সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনায় রয়েছে।
এনডিটিভিবিডি/২৩জুলাই/এএ