পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে গত ১৪ মে রাজধানীর মন্ত্রণালয় ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।তিনি বলেন, ‘আমরা বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপদেষ্টা জানান, পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানো, বর্জ্য ও সড়ক পরিষ্কারের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালনরত রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, গাছ লাগানোর কাজ তদারকির জন্য সিটি কর্পোরেশন, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের খালি জায়গাগুলোতে ঘাস লাগিয়ে ঢেকে দেওয়ার জন্য একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, তরুণ প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের সদস্যদের গাছের যত্নের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং যারা সেরা পরিচর্যা করবেন, তাদের বার্ষিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রণোদনা দেওয়া হবে।
তিনি জানান, নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে ধুলাবালি দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন দু’বার করে সড়কে পানি ছিটাবে। এছাড়া কঠিন বর্জ্য অপসারণ ও সড়ক পরিষ্কারের নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, খোলা ট্রাকে বালু পরিবহনের পরিবর্তে প্যাকেটজাত বালু পরিবহন করতে হবে।
উপদেষ্টা জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে সড়ক নির্মাণ ব্যতীত সকল সরকারি নির্মাণকাজে ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে।
যারা খোলা জায়গায় বর্জ্য পোড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাঠ্যপুস্তকে নাগরিক সচেতনতা ও বায়ুদূষণ রোধে নাগরিকদের ভূমিকা বিষয়ক একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করার নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। সেই সঙ্গে শুক্রবার জুমার খুতবায় পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বয়ান দিতে দেশের সব মসজিদে নির্দেশনা দেওয়ার কথাও জানান উপদেষ্টা।