ঢাকা , মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫

শাটডাউন প্রত্যাহার এনবিআর কর্মকর্তাদের

Jun ৩০, ২০২৫
রাজনীতি
শাটডাউন প্রত্যাহার এনবিআর কর্মকর্তাদের

 

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতারা ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কমিটির সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে টেকসই রাজস্ব সংস্কারে অবদান রাখতে পারবো বলে আমরা মনে করি। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি ও সাপ্লাই চেইন সচল রাখা তথা অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করছে। তবে, একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে আমাদের উদ্যোগ ও কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে, এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করার কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এদিন সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থ উপদেষ্টা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈঠক শেষ হয়।।

এদিকে, এনবিআরে সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, কাজে যোগ না দিলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হবে। রোববার সরকার এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে।

গত ১২ মে, মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরুদ্ধে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মসূচির ফলে সরকার গত ২৫ মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত না করে বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা, রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং প্রয়োজনীয় সব সংশোধনের আগপর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না বলে জানায়। তার প্রেক্ষিতে ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।

এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

উদ্ভূত পরিস্থিতি বিকাল ৪ টায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল ঐক্য পরিষদের। তবে সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি।