শুক্রবার (২৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ এসব তথ্য জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ, বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হলে তার বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানিয়েছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র এবং রাজস্ব আদায়ের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে কর্মে অনুপস্থিতি, বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ এবং বিলম্বে অফিসে উপস্থিতি অফিস শৃঙ্খলাপরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দাপ্তরিক শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা এবং অর্থবছরের শেষ তিনটি কর্মদিবসে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখাসহ রাজস্ব আদায় কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে এনবিআরের অধীন সব কাস্টমস হাউস, কর কমিশনারেট এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সব কমিশনারকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সব দপ্তরে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করে জনগণকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
এরবিআরের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ, বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হলে তার বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অফিস চলাকালীন দাপ্তরিক বা জরুরি প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্ব স্ব দপ্তর প্রধানের অনুমতি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রক্ষিত ‘অফিস ত্যাগের রেজিস্টার’ এ এন্ট্রি করে অফিস ত্যাগ করতে হবে।