ঢাকা , শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

স্থানান্তরের পর আধুনিক হবে গাবতলী টার্মিনাল

মে ০৯, ২০২৪
স্থানান্তরের পর আধুনিক হবে গাবতলী টার্মিনাল

যানজটের মহানগরী খ্যাত রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের সকাল শুরু হয় ভোগান্তিকে সঙ্গী করে। নিত্যদিনের জীবনে পথে পথেই শেষ হয়ে যায় অনেক কর্মঘণ্টা, সঙ্গে উদ্যোম আর গতিশীলতাও। শুধু কি তাই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় জ্যামে বসে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

নগরবাসী আর রাজধানীর বাইরে থেকে আসা মানুষের দুঃসহ এই ভোগান্তি দূরীকরণ, যানজট নিরসনসহ পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীর প্রবেশমুখের বৃহৎ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

গাবতলী আন্তঃজেলা টার্মিনাল, মহাখালী ও সায়দাবাদ টার্মিনালকে সরিয়ে নেওয়া হবে যথাক্রমে হেমায়েতপুর, গ্রাম ভাটুলিয়া ও কাঁচপুরে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলরা মনে করছেন, টার্মিনাল স্থানান্তরের ফলে শৃঙ্খলা আসবে চলাচলকারী বাসগুলোর। যা যানজট নিরসনে সহায়ক হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) গাবতলী টার্মিনাল স্থানান্তর নিয়ে কথা হয় একাধিক বাস চালক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। তারা সুবিধা ও অসুবিধা দুই ধরনের কথাই বলছেন। সরেজমিনে টার্মিনালটি ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম।

তবে টার্মিনালের বাইরে অর্থাৎ প্রধান সড়কে দেখা গেছে যানজট। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় বাস হেলপাররা যাত্রী পেলেই নিজের বাসে টানার চেষ্টাও করছেন। এতেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

বাসচালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টার্মিনাল সরানো হলে সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই হবে। তবে যাত্রীদের দাবি, টার্মিনাল যেখানেই হোক না কেন, যানজট নিরসন হলে ভোগান্তি কমবে সবার।

এসবি লিংক বাস সার্ভিসের ম্যানেজার জামাল বলেন, “এখান থেকে নিয়ে গেলে অসুবিধা হবে। নতুন জায়গায় গিয়ে সেট হতে সময় লাগবে। এখানে অনেক দিন ধরে আছি, সবার সঙ্গে পরিচয়।”

এ কে ট্রাভেলসের ম্যানেজার পলাশ বলেন, “পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রী সংখ্যা কমছে। যদি বাস টার্মিনাল সরানো হয় তবে যাত্রী বাড়বে। শুনেছি হেমায়েতপুরে নেবে। ওখানে হলে পদ্মা সেতুর সঙ্গে লিংক করে সড়ক আছে। এতে যাত্রী বাড়বে।”

বাসচালক হোসাইন বলেন, “বাস টার্মিনালে যে পরিমাণে গাড়ি, তাতে টার্মিনালে জায়গার সংকট। সকালে যখন গাড়ি নিয়ে আসি এখানে, তখন অনেক জ্যাম (যানজট)। এটা সরিয়ে বড় জায়গায় নিলে আমাদের জন্য সুবিধা।”

আশরাফুল নামের এক যাত্রী বলেন, “বাস টার্মিনাল ফাঁকা জায়গায় নিলে সুবিধা হবে। তাহলে আমরা যানজটে পড়ব না। না হলে এখানে আসলে যানজটে পড়তে হয়।”

চলতি বছরের জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা এক নোটিশে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খানও বলেছেন, গাবতলী টার্মিনালে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য মনে করেন, গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ঠেকানো সম্ভব হবে।

এনডিটিভি/পিআর