" /> ক্ষমতাসীনরা ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ঘটাচ্ছে : রিজভী - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
নিউজ বোর্ড :
নারীদের জীবন পরিবর্তনের ধারার সূচনা করেছিলেন বেগম রোকেয়া:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গণমাধ্যমে ছাপানো জাতিসংঘে পাঠানো চিঠি দেশের শত্রুর মতো আচরণ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করল বিএনপির সর্বনাশ হচ্ছে,তারেক রহমানের কারণে: আখতারুজ্জামান আরও ৯৩ জনের আবেদন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে সুনামি সতর্কতা,ভানুয়াতুতে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ডেনমার্ক পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ পদত্যাগের গুঞ্জনে যা বললেন বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে রাতে মাঠে নামছে তেজগাঁওয়ে ক্রেনের আঘাতে ট্রেন লাইনচ্যুত বৃষ্টির মধ্যে রাজধানীতে দুই বাসে আগুন পুতিনকে জিততে দিতে চান না বাইডেন রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৭ মার্চ পাঁচ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক ৩৩৮ থানার ওসি বদলির অনুমোদন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুরের কাছে ব্যাখ্যা তলব মির্জা ফখররুলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট পান্নুন হত্যা : ভারতে আসছেন এফবিআইয়ের পরিচালক নওয়াজ-সুজাত বৈঠক, আসন ভাগাভাগির পরিকল্পনা পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযোগ সত্য নয় যুক্তরাষ্ট্র

ক্ষমতাসীনরা ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ঘটাচ্ছে : রিজভী

image 248866 1

5 / 100

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। সারাদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা’ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগে করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জ্বালাও-পোঁড়াও করে অপরাধীরা খুব সহজেই ঘটনাস্থল থেকে শটকে পড়েছে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শৗদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

রিজভী বলেন, এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে যে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারিদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, কিভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেওয়ার জন্য দায়ী।

উদাহরণ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে ট্রাকে আগুন দেওয়ায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।

এ সময় প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বত্র পুলিশ বা র‌্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজিবির শত শত প্লাটুন অস্ত্র সজ্জ্বিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অস্ত্র সশস্ত্র সহযোগে পুলিশের পূর্ণাঙ্গ সুসংহত টহল। বাংলাদেশ যেন পরিণত হয়েছে এক যুদ্ধক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, এই নিশ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধী দলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হয়তো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেন তারা নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

রিজভী বলেন, ওদের এসব কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণিত হয়েছে, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে… কিভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাসে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয় আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা।

রিজভী আরও বলেন, ২০১৪ সালে বিরোধীদলের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ তার বিহঙ্গ বাসে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমে জানা যায়। সেখানে আগুনে ১১ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ট্রেন এবং বাসে আগুন দিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের ওপর হামলা করে মানুষ হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ। এমন অজস্র দৃষ্টান্ত আছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৭৫ জনের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং বিভিন্ন মামলায় এক হাজার ৭২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে যে অবরোধ শুরু হচ্ছে সেই কর্মসূচিতে জনগণ, দলের নেতাকর্মী, সমমনা জোট সমর্থন করবে। এ কর্মসূচি আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

aticlix.net