" /> গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন প্রায় কবরস্থান - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
নিউজ বোর্ড :
বিএনপির সর্বনাশ হচ্ছে,তারেক রহমানের কারণে: আখতারুজ্জামান আরও ৯৩ জনের আবেদন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে সুনামি সতর্কতা,ভানুয়াতুতে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ডেনমার্ক পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ পদত্যাগের গুঞ্জনে যা বললেন বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে রাতে মাঠে নামছে তেজগাঁওয়ে ক্রেনের আঘাতে ট্রেন লাইনচ্যুত বৃষ্টির মধ্যে রাজধানীতে দুই বাসে আগুন পুতিনকে জিততে দিতে চান না বাইডেন রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৭ মার্চ পাঁচ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক ৩৩৮ থানার ওসি বদলির অনুমোদন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুরের কাছে ব্যাখ্যা তলব মির্জা ফখররুলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট পান্নুন হত্যা : ভারতে আসছেন এফবিআইয়ের পরিচালক নওয়াজ-সুজাত বৈঠক, আসন ভাগাভাগির পরিকল্পনা পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযোগ সত্য নয় যুক্তরাষ্ট্র পেলে-নেইমারের ক্লাব সান্তোসের প্রথম অবনমন ১১১ বছরের ইতিহাস রুবিয়ালেস কী ইংল্যান্ডের নারী ফুটবলারকেও জোর করে চুমু খেয়েছিলেন ? ইসি আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের চাপ দেওয়ার অধিকার নেই

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন প্রায় কবরস্থান

5 / 100

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল পরিণত হচ্ছে কবরস্থানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি গাজার এই হাসপাতালটি মৃতদেহ দাফন করতে পারছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালকে ‘প্রায় কবরস্থান’ বলে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই হাসপাতালটি গত কয়েকদিন ধরে তীব্র লড়াই প্রত্যক্ষ করছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জোর দিয়ে বলেছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, এখনও প্রায় ৬০০ জন হাসপাতালটিতে রয়ে গেছেন এবং অন্যরা হাসপাতালের হলওয়েতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের আশপাশে এমন অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে যেগুলোর কাছে যাওয়া যাচ্ছে না, এমনকি দাফনও করা যাচ্ছে না বা সেগুলো উদ্ধার করে কোনও মর্গেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। যেভাবে কাজ করা উচিত হাসপাতালটি এখন আর সেভাবে কাজ করছে না। এটি এখন প্রায় একটি কবরস্থান।’

এদিকে হাসপাতালে মৃতদেহ জমে ও পচে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ড. মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও পচনশীল মৃতদেহগুলোকে দাফন করার জন্য হাসপাতালের বাইরে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি। এতে করে কুকুররা এখন হাসপাতালের মাঠে ঢুকে মৃতদেহ খেতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে আল-শিফা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে রোগীরা। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা কয়েক ডজন শিশুর জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। মূলত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তারা ইনকিউবেটরে আর থাকতে পারছে না।

সেলমিয়া জানান, অক্সিজেনের অভাবে সাতটি শিশু মারা গেছে।

অবশ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ দাবি করেছেন, ইসরায়েল ওই শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও হামাস সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

aticlix.net