" />
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গাজায় ইসরায়েলের টানা বোমা হামলায় ৫০০ শিশুসহ অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৮০০’র বেশি ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ৮৫৩ জন শিশু এবং ৯৩৬ জন নারী। আহত হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ।ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ১১ দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের টানা বোমা হামলায় বিধ্বস্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে গাজা। বিদ্যুৎ, পানি ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন গাজার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ শতাধিক বেসামরিক নাগরিক, ২৯৯ জন সেনা এবং ৫৪ জন পুলিশ অফিসার। আহত হয়েছে চার হাজার মানুষ।
সবমিলিয়ে হামলায় দুই পক্ষের ৪ হাজার ২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রাণ গেছে ১১ জন সাংবাদিকের।
এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েল যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর তিনি জর্ডান সফর করবেন। সেখানে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বাইডেনের।
অন্যদিকে, ইসরায়েল গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ চালানো বন্ধ না করলে ইরান পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। একই সঙ্গে গাজায় যেকোনো কর্মকাণ্ডের পরিণতি ইসরায়েলকে ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে তারা। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র : আলজাজিরা, সিএনএন