" />
আজ শনিবার শুভ মহালয়া। আজ থেকে দেবী পক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্নের শুরু। মহালয়ার মাধ্যমে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগমনী সুর বাজবে।
মহালয়া শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘আনন্দ নিকেতন’। দেবী দুর্গা আজ মর্ত্যলোকে পা রাখছেন। হিন্দু শাস্ত্রমতে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া নামে পরিচিত। পুরাণমতে, অসুর শক্তির কাছে দেবতারা যখন পরাভূত এবং স্বর্গলোকচ্যুত তখন চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ। একপর্যায়ে সেই অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে একত্রিত হন দেবতারা। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আভির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ায় থাকে ঘোর অমাবশ্যা। দুর্গা দেবীর তেজের আলোয় সেই অমাবশ্যা দূর হয়ে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠা পায়।
মহালয়ার পরে শুরু হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ২ কার্তিক (২০ অক্টোবর) শুক্রবার দুর্গা দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠিবিহিত পূজার মাধ্যমে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। ৩ কার্তিক (২১ অক্টোবর) শনিবার মহাসপ্তমীবিহিত পূজা, ৪ কার্তিক (২২ অক্টোবর) রবিবার মহাষ্টমী বিহিত পূজা, ৫ কার্তিক (২৩ অক্টোবর) সোমবার মহানবমীবিহিত পূজা এবং ৬ কার্তিক মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, এবার ঢাকাসহ সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে পূজা হবে ২৪৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্ডপে।
আজ মহালয়ার দিনে ভোর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজামন্ডপগুলোতে চন্ডীপাঠ, পূজার্চনা আর ঢাকের বোলে দুর্গা দেবীকে আহ্বান করা হবে। মহালয়া উপলক্ষে প্রয়াত পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করে তর্পণ করা হবে। এ উপলক্ষে জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন, ঘট স্থাপন, চণ্ডীপাঠ, পূজার্চনা, আরাধনা ও ধর্মীয় সংগীত অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ইতিমধ্যে সারা দেশের পূজামন্ডপগুলোতে প্রতিমা নির্মাণ, প্যান্ডেল স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পূজাম-পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে।