" /> আমরাও ভবিষ্যতে চাঁদে যাব : প্রধানমন্ত্রী - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
নিউজ বোর্ড :
ভূজপুর বৌদ্ধ পরিষদের উদোগে বিজয়ানন্দ ভিক্ষু র থেরোবরন অনুষ্টান সম্পন্ন পিটার হাসকে ‘হত্যার হুমকি’ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ সিএনজি থামিয়ে ডাকাতি আটক ৪ ইইউ প্রতিনিধিদলকে ইসি নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য বিএনপির ২৪ ঘণ্টার অবরোধ শুরু বিএনপিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে না কেন : ওবায়দুল কাদের ১২ জনের বিনিময়ে ৩০ বন্দির মুক্তি দিলো ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল, নতুন গ্রেপ্তার ১৩৩ নিউজিল্যান্ড টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম দিনে চালকের আসনে বাংলাদেশ দিনের প্রথম বলেই গুটিয়ে গেল মানুষের কল্যাণে ডিএসসিএসসি’র প্রশিক্ষণার্থীদের জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে: রাষ্ট্রপতি ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষ, টানেল থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিক আবারও সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানালেন, নৌকার প্রার্থী ৩০০ আসনেই পুরো গাজায় অভিযান বিরতির পর: ইসরায়েল দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ,নির্বাচনে আসছেন তারেক বিরোধীরা বিএনপির খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাসহ দুই কেন্দ্রীয় নেতা বহিষ্কার জাপা রওশনের আসন ফাঁকা রাখল জাপার যেসব প্রার্থী আ.লীগের হেভিওয়েটদের সঙ্গে লড়বেন কাদিরভের ইউক্রেনে আরও ৩ হাজার চেচেন সেনা পাঠানোর ঘোষণা

আমরাও ভবিষ্যতে চাঁদে যাব : প্রধানমন্ত্রী

image 242705 1

8 / 100

শনিবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের এই দিকটা যেন আরও উন্নত হয়। আমরা দেখি আমাদের আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, তো আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমরাও চাঁদে যাব। ভবিষ্যতে সেভাবেই আমরা দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলব। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক আর এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই দিকটা (অ্যারোস্পেস) যেন আরও উন্নত হয় সেজন্য অ্যারোস্পেস বিষয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা দরকার। আমাদের লোকবল দরকার, এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণাও দরকার। সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের যারা অত্যন্ত মেধাবী তরুণ-তরুণী আছে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে আমরা লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এভিয়েশন খাতের আরও উন্নতি হোক। অতীতে এই খাতে উন্নয়নের এত পদক্ষেপ কেউ নেয়নি। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা (জাতিয় পার্টি, বিএনপি) দেশের মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারেননি। আওয়ামী লীগই দিয়েছে। মানুষের মধ্যে একটা আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি করে দিয়েছি। বিশ্বের বুকে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষের যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নয়নের জন্য বিমানপথ অপরিহার্য। নৌপথ, রেলপথ ও আকাশ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে বিদেশের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ তার মূল পথ এবং বাহন হলো বিমান তথা আকাশ পথই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিই, তাই সে অনুযায়ী কাজ করছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিমানবন্দরে কোনো বোর্ডিং ব্রিজ বা পার্কিং লড কিছুই ছিলো না। তাই তখন থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়ে ছিলাম এ বিমানবন্দরের উন্নয়ন।

সেই সাথে সাথে চট্টগ্রাম এবং সিলেট দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সাথে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি। ’৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল, এই সময়ে কিন্তু এ বিমানবন্দর উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়।তিনি আরও বলেন, আমাদের বিমানবন্দর সমূহকে আরও আধুনিক এবং যাতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয় তার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, অমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে আমাদের অনেকেই বাস করে, তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে, অমাদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে। তাছাড়া বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ভারত মহাসাগর অপরদিকে প্রশান্ত মহাসাগর সেই সাথে সাথে আমাদের বঙ্গপসাগর এ তিন রুটের মাঝে। প্রাচীন যুগ থেকেই এই জায়গাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের ভৌগলিক অবস্থাটা হলো আন্তর্জাতিক এয়ার রুটের মাঝেই। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশটাকে আমরা যদি সেভাবে উন্নত করতে পারি। তাহলে যোগাযোগের জন্য এটি চমৎকার একটা জায়গা হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ইতোমধ্যেই কক্সবাজার বিমানবন্দরটাকে আধুনিক এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করে যাচ্ছি। সাথে সাথে আমরা দেশের অন্যান্ন বিমানবন্দরগুলোও উন্নত করছি। যাতে দেশের সকল জেলার সঙ্গে কক্সবাজারের একটা যোগাযোগ সৃষ্টি হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এই টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী। তবে এটা প্রায় ২ কোটির কাছাকাছি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর এর মাধ্যমে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার হবে আন্তর্জাতিক বিমানের হাব।

এদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে উদ্বোধনস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ঘুরে ঘরে টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (বেবিচক) এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি শফিউল আজিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ম্যাচ লাইভ

aticlix.net