" />
হামলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এক বিমানবাহিনীর এক টেলিগ্রাম পোস্টে রুশ নৌবাহিনীর সদর দফতরে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। পরবর্তী সময়ে বিবৃতি পালটে ‘হামলার পর বিস্ফোরণে একজন নিখোঁজ’ হওয়ার খবর দেয় মস্কো। কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। শুক্রবারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এ হামলায় একজন নিখোঁজ হয়েছে। হামলার পরপরই দেওয়া বিবৃতিতে প্রথমে একজন নিহতের খবর জানিয়েছিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় রুশপন্থি গভর্নর বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন, আরেকটি হামলা হতে পারে। লোকজনকে ঘরের ভেতর থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
চলমান যুদ্ধে রুশ নৌবহরে সবচেয়ে বড় ইউক্রেনীয় আঘাতের মাত্র দশ দিন পর এই হামলা চালানো হলো।
হামলার পর সেভাস্তোপোল শহরে বিমান হামলা সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। গভর্নর মিখাই রাজভোজায়েভ বলেছেন, সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, সবার মনোযোগ আকর্ষণ করছি! আরেকটি হামলা হতে পারে। দয়া করে কেউ শহরের মূল কেন্দ্রে যাবেন না। ভবন থেকে বের হবেন না।
অপর এক পোস্টে তিনি বলেছেন, দমকল কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নৌবহর ও বন্দরের অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে একটি সাবমেরিন এবং একটি যুদ্ধজাহাজের ক্ষতিসাধন করেছিল।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নেয়। এই উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তর অবস্থিত। রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি উপদ্বীপটিতে হামলা জোরদার করেছে কিয়েভ।