শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাওলা অংশে ফলক উন্মোচন করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়িপ্রতি ৮০ টাকা হারে প্রথম টোল দিয়ে ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন সরকারপ্রধান। পরে বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতুসচিব মো. মনজুর হোসেন এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার দ্বার খুললেও এ সড়কে যান চলাচল শুরু হবে আগামীকাল রোববার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে। এর ফলে মাত্র ১০ মিনিটে বিমানবন্দরে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
এটি সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে যাওয়া যাবে অল্প সময়ে।
তথ্যমতে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি নামের প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও আপাতত বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের নির্মাণ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে। উড়ালসড়কে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি অর্থের যোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগাকরী প্রতিষ্ঠান।