শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগস্ত টিএসসি গেট এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেটে অবস্থান করে এই চিত্র দেখা গেছে।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশ আজ (শুক্রবার)। আনুষ্ঠানিকভাবে বিকেল ৩টা থেকে সমাবেশ শুরু কথা থাকলেও সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিল-শ্লোগানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বিভিন্ন গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এসময় মিছিল-শ্লোগানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট এবং টিএসসি গেটসহ পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা উত্তাল হয়ে উঠে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্রলীগের রংপুর মহানগরের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহানুর ইসলাম সৌরভের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে রাজধানীর টিএসসি গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করেন।

এসময় নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার-বার দরকার’, বিএনপি-জামায়েতে কালো হাত, ভেঙে দাও’ শ্লোগান দিতে থাকে।

এছাড়াও বেলা ১২টায় নেত্রকোনা জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন ও সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খানের নেতৃত্বে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে টিএসসি গেটে এসে জড়ো হন।

রবিউল আওয়াল শাওন বলেন, আমরা নেত্রকোনা থেকে ৩৪টি বাস, ১১ হায়েস গাড়ি এবং ৫টি প্রাইভেটকার নিয়ে এসেছি। আমাদের জেলায় পরিবহন সল্পতা আছে, যে কারণে অন্তত আরও ৫০০ নেতা-কর্মীকে আমরা সঙ্গে আনতে পারিনি।

তিনি বলেন, আজকের সমাবেশকে ঘিরে সারাদেশেই একটা উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। আমরা দেশের যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যখনই হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা আসবে, বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে রাস্তায় নেমে যাবো।

সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান বলেন, নেত্রকোনা থেকে আমরা রাতে রওনা দিয়েছি। আজ ভোরে ঢাকায় এসেছি। সবমিলিয়ে তিন হাজারের মতো নেতাকর্মী এসেছে। আমাদের ১০টি উপজেলা, ৫ পৌরসভা এবং সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা এসেছে। এর বাইরেও শতশত নেতাকর্মীকে আমরা আনতে পারিনি।