" />
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুয়ার খুলছে আগামী দুই সেপ্টেম্বর শনিবার। দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনার শিপে তৈরি এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।এদিন আংশিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গতিময় এই সড়ক। আপাতত বিশ কিলোমিটারের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে বারো কিলোমিটার।
এই যাত্রায় বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশের পাচঁটি পয়েন্ট দিয়ে, গাড়ি উঠতে ও নামতে পারবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এর মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উঠা ও নামার জন্য থাকবে একটি করে র্যাম্প। কুড়িলে উঠার পথ ২টি আর নামার একটি। বনানীতে দুটি র্যাম্প উঠার আর দুটি নামার। মহাখালীতে নামা যাবে দুই পথে,তবে উঠা যাবে একটি পথে। আর ফার্মগেটে নামার পথ একটি তেঁজগাও কলেজের সামনে, আর উঠার র্যাম্প তিনটি। শুরুতে মোট ষোলটি র্যাম্পের মধ্যে তেরটিতে যানবাহন চলাচল করবে।
এরইমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এই পথে উঠবে না তিন-চাকার আর দুই চাকার কোনো যানবাহন। থাকবে না ফুটপাত। নির্ধারণ করা হয়েছে যানবাহনের টোলও। প্রাইভেট কারে সর্বনিম্ন আশি টাকা। একই টোল-হার মাইক্রোবাস, পিকআপ, হালকা ট্রাকের ক্ষেত্রে। তবে মাঝারি ট্রাকে তিনশো বিশ টাকা এবং ভারী ট্রাক চলাচলে গুনতে হবে চারশ’ টাকা। এছাড়া বাস-মিনিবাসে গুনতে হবে একশ ষাট টাকা।
দুই হাজার এগারো সালে কাজ শুরু হওয়া দেশের প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের ব্যয় ধরা হয়েছিলো আট হাজার সাতশো তিন কোটি টাকা। মাঝের এই বছরগুলোতে কয়েক দফা বেড়ে এখন হয়েছে তের হাজার আটশো সাতান্ন কোটি টাকা।
জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে।