নিজস্ব প্রতিবেদক,
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার আইনে দুদকের করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে তিনি ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জাকির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগে কেনিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাগেরহাট জেলা সদরের বাসাবাড়ী গ্রামের বাহুরুল হকের ছেলে।
২০২২ সালের ১৪ মার্চ দুর্নীতির অভিযোগে আসামি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি জাকির ২০২১-২০২২ করবর্ষের আয়কর নথি অনুযায়ী তার নামে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অযুতাংশ জমির ওপর ৫তলা ভবনসহ এক কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার দুইশ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়াও সঞ্চয়পত্রে রয়েছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়াও ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার নয়শ ৭০ টাকা ও ব্যাংকে গচ্ছিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ সর্বমোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার চারশ ৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
ওই সম্পদের বিপরীতে আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হননি বলে ওই সম্পন্ন তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
তাছাড়া অনুসন্ধানে আসামির নামীয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট শাখায় বিভিন্ন সময়ে ৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার নয়শ ১৩ টাকা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভিকারুননিসা নুন স্কুল শাখার ১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার নয়শ ৩০ টাকা এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় এফডিআর হিসাবে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার একশ ৫৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করা ওই অর্থের বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানের সময়