নিজস্ব প্রতিবেদক,
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, “বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব”। তিনি বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটালি আমরা যত উন্নয়ন করছি, তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত এবং বস্তুগত সাক্ষ্যের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা তত বাড়ছে। সহকারী জজ বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা ৪৮শ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার সিআইডি সদর দপ্তরে সহকারী জজ বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা ৪৮শ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী জজ বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা ৪৮শ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোস অংশ হিসেবে ফরেনসিক তদন্ত বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ধারণা গ্রহণের লক্ষ্যে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও কোর্স পরিচালক (জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ) শেখ আশফাকুর রহমান মহোদয়ের নেতৃত্বে ৫৩ (তিপ্পান্ন) জন সহকারী জজ বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পাঁচজন ফ্যাকাল্টি মেম্বারসহ মোট ৫৮ জন কর্মকর্তা শিক্ষা সফরে আসেন। এ বিষয়ে সিআইডিতে একদিনের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান বলেন, কারণ বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত এবং বস্তুগত সাক্ষ্য প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তিনি মৌখিক সাক্ষ্য থেকে বস্তুগত (ফিজিক্যাল এভিডেন্স) সাক্ষ্যের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন প্রশিক্ষণার্থীরা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফরেনসিক বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ধারণা পাবে যার মাধ্যমে তাদের বিচারিক দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
কোর্স পরিচালক (সিনিয়ার জেলা ও দায়রা জজ) শেখ আশফাকুর রহমান এ ধরণের প্রশিক্ষণর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যা ভবিষ্যতে নবীন বিচারকদের বিচারিক কাজকে আরো বেগবান করবে। তিনি ভবিষ্যতে সিআইডি ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যহত রাখার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীগণকে ডিএনএ, ডিজিটাল ফরেনসিক, কেমিক্যাল ল্যাব, জেনারেল ফরেনসিক, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে বিশদ আলোচনাপূর্বক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সিআইডির বিশেষজ্ঞগণ প্রশিক্ষণ দেন।
ওই প্রশিক্ষণ কোর্সে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআইডির ডিআইজি (এইচআরএম ও ঢাকা মেট্রো) মো. মাইনুল হাসান। প্রশিক্ষণ কোর্সে সিআইডির ডিআইজি (অর্গানাইজড ক্রাইম) কুসুম দেওয়ান, ডিআইজি (চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান, ডিআইজি (খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ) শেখ নাজমুল আলম, ডিআইজি (ফরেনসিক) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, ডিআইজি (সিপিসি) শ্যামল কুমার নাথসহ সিআইডির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।