" />
নিজস্ব প্রতিবেদক,
নারীর সম্ভ্রমহানি প্রতিরোধে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন বক্তারা বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর আইন শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘নারীর সম্ভ্রমহানি পরবর্তী জটিলতা ও প্রতিরোধ উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ আহবান জানান।
শনিবার বিকালে রাজধানীর রমনার পুনাক ভবনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুনাক সভানেত্রী মুশরাত জাঁহা চৌধুরী বলেন, আমাদের পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের চারপাশে নারীদের সম্ভ্রমহানির প্রতিরোধের জানান দেওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, মেয়েদর বয়ঃসন্ধিকালিন সময় নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলতে হবে। বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সম্ভ্রমহানি প্রতিরোধে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাশিদ তাবাসসুম খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মমতাজ আরা। অনুষ্ঠানে পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা নাসিম আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. নাশিদ তাবাসসুম খান।
ডা. নাশিদ তাবাসসুম খান বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।
ডা. মমতাজ আরা বলেন, শিশুর সম্ভ্রমহানির ক্ষেত্রে পিতা-মাতার অসচেতনতা ও উদাসীনতা মূল কারণ।
পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা নাসিম আমিন বলেন , যারা সম্ভ্রমহানির শিকার হন তাদেরকে সমাজের চোখে অন্যভাবে দেখা হয়। এ বিষয়ে সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস সৃষ্টি করতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।