" />
কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানবাক্সগুলো তিন মাস ১৩ দিন পর খোলা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় আটটি দানবাক্স থেকে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
এতে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনাও পাওয়া গেছে বলে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেই বস্তাগুলোর টাকা গণনা শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে ২০০ জনের একটি দল। টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখসহ আরো অনেকেই।
সাধারণত প্রতি তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তবে এবার খোলা হলো ৩ মাস ১৪ দিন পর। এর আগে ৬ মে দানবাক্স খোলা হয়েছিল, তখন ১৯টি বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছিল।
চলতি বছরের প্রথম দানবাক্স খোলায় হয় ৭ জানুয়ারি। ওই সময় ২০টি বস্তায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছিল।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে।
প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস যে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।