ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম আছে। বুধবার ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা সেই সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে। এদিন ইউক্রেনীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ক্রিমিয়ায় একটি বড়সড় বিস্ফোরণ হয়।
এরপরই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ পুনর্দখল করাই ইউক্রেনের লক্ষ্য। বুধবার (২৩ আগস্ট) কিয়েভে একথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইসঙ্গে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার মিসাইল সিস্টেম ধ্বংসেরও দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য এর তাৎক্ষণিক কোনও জবাব দেয়নি। তবে রাশিয়ার এক সেনা ব্লগার জানিয়েছে, এস-৩০০ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে। পরে অবশ্য রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে।
বুধবার কিয়েভে ক্রিমিয়া সংক্রান্ত এক আলোচনাচক্র ছিল। সেখানে জেলেনস্কি বলেছেন, দুঃখজনক সত্য হলো, এখনও ইউক্রেনের বহু জায়গা রাশিয়ার দখলে। ক্রিমিয়া তার অন্যতম। ইউক্রেনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্রিমিয়াকে পুনর্দখল করা। পাশাপাশি রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের ভূথণ্ড পুনরুদ্ধার করা।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, তিনিও জেলেনস্কির এই বক্তব্য সমর্থন করেন। রাশিয়া অন্যায় এবং অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখল করে রেখেছে।
তবে সবচেয়ে সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২০১৪ সালের মতো আপস মীমাংসা এবার করা ঠিক হবে না। তাৎক্ষণিক শান্তির প্রয়োজন নেই। ইউক্রেনের অধিকার আছে তাদের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করার।’
তার বক্তব্য, যতদিন লড়াই চলবে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করতে হবে। ক্রিমিয়ার মতো রাশিয়ার হাতে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া যাবে না, ২০১৪ সালে যা হয়েছিল।
বস্তুত, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া আক্রমণ করে। বেশ কিছুদিন লড়াইয়ের পর শান্তি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর ইউক্রেন রাশিয়াকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এবার সেই ক্রিমিয়া পুনর্দখলের কথা বলছেন সবাই।