" />
নিজস্ব প্রতিবেদক,
অবশেষে পুলিশ সোনা ছিনতাই ও আত্মসাৎকারী অশোক দেব লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার রঘুনাথ বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের পর অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত লিটনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানার মামলা নম্বর- ৮(৯) ২০০০, মামলা নম্বর ৫৯ (১২) ২০০০, মামলা নম্বর-২০(২) ২০০১, ২০ (২) ২০০১, মামলা নম্বর-১৪৬২/২০১৬ এবং পটিয়া থানার মামলা নম্বর-৩৫/১৪। যাহা মাদক,ছিনতাই,ডাকাতি,অপহরণ ও চাদাঁবাজী সহ তার বিরুদ্ধে নগরী ও জেলা শহরের বিভিন্ন থানায় আরো একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের গত ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী গলিতে পুলিশ পরিচয়ে ১৪টি স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মূলহোতা সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির ৬টি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণ বিক্রির ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে পুলিশ লিটনকে গ্রেপ্তারের অভিযানে নামে। পুলিশ জানায়, হাজারী গলির পিয়াসী মার্কেটের বনলতা কাটিং সেন্টার নামে একটি অলঙ্কার তৈরির কারখানার ব্যবস্থাপক কনক ধর গত ৬ আগস্ট ১৪টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকা যাবেন; এই তথ্য জেনে গিয়েছিলেন জয়ন্ত। ৬ আগস্ট ভোরে দামপাড়া বাস কাউন্টারে যাওয়ার পথে হাজারী গলির মুখে বনফুলের সামনে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বারগুলো ছিনিয়ে নেয়া হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে থাকলেও জয়ন্তের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেখানেও তার ব্যবসা আছে। গত ৫ আগস্ট ছোট ভাই প্রবীরকে ছিনতাইয়ের তথ্য দিয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যান। ছিনতাইয়ের ঘটনা সফল হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত চলে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে চোরের ওপর বাটপারির মতো প্রবীর ও লিটন সাতটি বার বিক্রি করে ক্যাশ করে ফেলেন। বাকি সাতটি তার দীর্ঘদিনের অপরাধ জগতের সাথী টেরিবাজার রঘুনাথ বাড়ির অশোক দেব লিটনের কাছে রাখতে দেন। জয়ন্ত চট্টগ্রাম এসে বিষয়টি জানতে পেরে প্রবীরের ওপর রেগে যান । প্রবীরকে তিনি বলেন, পুলিশের সাথে আমার ‘লাইন-ভাঁজ’ হয়ে গেছে। বাকি বারগুলো নিয়ে আয়। প্রবীর লিটনের কাছে সাতটি বার ফেরত চাইলে লিটন একটি বার নিজের কাছে রেখে বাকি ছয়টি প্রবীরকে দেয়। প্রবীর সেই ছয়টি বার তার বড় ভাই জয়ন্তকে এনে দিলে তিনি তার স্ত্রীর কাছে সেগুলো রেখে আবার চলে যান। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় পুলিশ আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইয়ে জড়িতদের বিষয়ে খোঁজ পায়। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মূল পরিকল্পনাকারী জয়ন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে রাতে নগরীর ঘাটফরহাদবেগ থেকে প্রবীরকে এবং বাকলিয়া থেকে রউফ ও তুষারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তুষারের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ লিটনকে গ্রেপ্তার করে। টেরী বজার এলাকায় গিয়ে আরো জানা যায়,কিছুদিন আগে এক হুন্ডি ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে হুন্ডির ২৫ লাখ টাকা ও মোবাইল ,মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ।