" />
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে কোন মহল যাতে কোন ধরনের ইস্যু তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। আইজিপি ছাত্র ও শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়, যে কোনো দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, নিত্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে কোন মহল যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর নির্বিঘ্নে উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্বকালে এসব নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকতে হবে।
রমজানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেন কোনো ধরনের নাশকতার ঘটানা না ঘটে সেজন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে নিয়মিত টহল জোরদার করারও নির্দেশনা প্রদান করেন।
আইজিপি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল রোধ এবং রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। তিনি এ লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা সবাই সতর্ক থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সক্ষম হবো।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সম্ভাব্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্ভব সংক্রান্ত বিষয়, বাজার মনিটরিং, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপিরা এবং ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সকল মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং রেঞ্জ ডিআইজিরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।