" />
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা শহরে অবস্থিত স্থাপনা বা ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ সহ সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রতিটি স্থাপনা বা ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেল এর একটি বেঞ্চ ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। রুলে ঢাকা শহরে বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের নিষিক্রয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। আর ঢাকা শহরে বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানাতে বলেছেন। আদালত এক অন্তর্র্বতীকালীন আদেশে রাজউকের চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা (এমডি) ঢাকা শহরে গত ৫ মার্চ সকালে সাইন্সল্যাব এলাকায় এবং ৭ মার্চ বিকালে পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারের গুলিস্তান এলাকায় দুটি পৃথক বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিস্ফোরণে ঢাকা শহরে অবস্থিত স্থাপনার নিরাপত্তা বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে এইচআরপি রবিবার হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
মঙ্গলবার রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেল এর আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। ঢাকা শহরে বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ঢাকা শহরে বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানাতে বলেছেন।
আদালত এক অন্তর্র্বতীকালীন আদেশে রাজউকের চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক,ঢাকা উত্তরের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী পরিচালক কে অবিলম্বে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডের জন্য সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ সহ দল গঠন করে প্রতিটি স্থাপনায় পয়ঃনিষ্কাশন লাইন এবং গ্যাস লাইন পরীক্ষা করা এবং স্থাপনা সমূহে কোন ত্রুটি থাকলে সেগুলো মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। আর প্রতি ৮ সপ্তাহ পর পর আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এইচআরপি পক্ষের কৌশুলী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন সাইন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিক বাজার,গুলিস্তান দুর্ঘটনার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমূহের অবহেলা। ঢাকা শহরে হাজার হাজার স্থাপনা রয়েছে এবং অধিকাংশ জায়গায় পয়ঃনিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন বিদ্যমান রয়েছে। সেসব পয়ঃনিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমূহ এ ব্যাপারে সক্রিয় নন। তাদের এ নিষ্ক্রিয়তা হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। সুতরাং জনগণের জীবন বাঁচাতে এসব পয়ঃনিষ্কাশন ও গ্যাস লাইন দ্রুত তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
রিট পিটিশনার হলেন এইচআরপির পক্ষে এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং এডভোকেট রিপন বাড়ৈ। বিবাদীরা হলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তরের প্রধান নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও ডিএমপি পুলিশ কমিশনার সহ মোট নয়জনকে বিবাদি করা হয়।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা ও শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া ও সঞ্জয় মন্ডল। সরকার পক্ষে ছিলেন মো. মোদাচ্ছের আলী খান দিপু।