" /> বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই হত্যা করা হয়েছিল : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই হত্যা করা হয়েছিল : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

image 82410 1678633756

5 / 100

এনডিটিভি অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা, ১২ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে যখন পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়েছিলেন, মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অক্লান্ত পরিশ্রম করছিলেন, তখনই ঘাতকেরা তাঁকে হত্যা করে উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু ঘাতকের সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তাজুল ইসলাম আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিএনপির সুষ্ঠু নির্বাচন দাবির বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি’র ডিকশনারিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে, যে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে। বিএনপি’র মতে, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসলে সে নির্বাচন আর সুষ্ঠু হয় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার পরিকল্পনা থেকে বিচারপতি কে এম হাসানের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে সেনা শাসনের পথ সুগম করার জন্য বিএনপিই দায়ী।
তিনি বলেন, তখন আওয়ামী লীগের কোন আহবানে বিএনপি সাড়া দেয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরোয়া তারা তখন করেনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। অথচ সেই মহান নেতার ভাষণই এক সময় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এ সময় মন্ত্রী বিএনপি জামাতের সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আদালতের রায়কে সম্মান না দেখিয়ে বিশ্ব নেতাদের দিয়ে চিঠি ইস্যু করে তিনি নিজের সম্মান নষ্ট করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এনডিটিভি,এসইই


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা