" /> আওয়ামী লীগ কখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় : আবদুল্লাহ আল নোমান – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ কখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় : আবদুল্লাহ আল নোমান

732645 178

5 / 100

এনডিটিভি অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনোই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করে। ১৯৭৫ সালেও আওয়ামী লীগ সরকার চারটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তারা গণতন্ত্র সহ্য করতে পারে না।তাই তারা স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় গিয়ে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে সবাইকে বাকশালে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল। বর্তমানে বিনা ভোটের আওয়ামী সরকার তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করছে নতুন আঙ্গিকে। সে কারণে তারা সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালাচ্ছে এবং হুমকির সর্বগ্রাসী কর্তৃত্ব কায়েম করেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, এডভোকেট রফিক শিকদার, আবদুর রহিম, রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজ জাতিকে মিথ্যা ইতিহাস শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ৭মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নি। স্বাধীনর ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান ২৬মার্চ। যারা এ সত্যকে অস্বীকার করে নতুন তথ্য হাজির করাচ্ছেন তারা ইতিহাস বিকৃতকারি।জাতি এদের ক্ষমা করবে না।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সব গণমাধ্যমের কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই তারা এখন সত্য তুলে ধরতে পারছেন না। তাদেরকে এখন সেলফসেন্সরশিপ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের সমালোচনা করলে রোষানলের শিকার হয়ে বন্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন।সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন, বিচার পায়না।

তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে কোনো স্বাধীনতা নেই তা আবারও প্রমাণিত হলো। দৈনিক দিনকাল পত্রিকাটি দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলের মুখপত্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে। বিরোধী দলের একমাত্র পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল সরকারের চরম হিংসা চরিতার্থ করার বহিঃপ্রকাশ। সরকারের অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী কর্মকান্ড, চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, জাতীয় স্বার্থ বিরোধী অসম চুক্তি, হত্যা, গুম, খুন, প্রহসনের সত্য সংবাদ নি:সঙ্কোচে প্রকাশ করায় দৈনিক দিনকাল সরকারের চরম রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশে এক ভয়ানক ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো আজ হরণ করা হয়েছে। ভাষা আছে কিন্তু বাক স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম আছে, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আদালত আছে ন্যায়বিচার নেই। সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের তথ্য যাতে প্রকাশ করা না যায় সেজন্য একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই ১৯১টি অনলাইন বন্ধ করেছে সরকার। ভোটারবিহীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী সংসদে কিছুদিন আগে বক্তব্য দিয়েছেন- গতমাসে ১০০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে এবং আরো শতাধিক বাতিল করা হতে পারে। এরইমধ্যে বিরোধী দলের মুখপাত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকা বন্ধ করা তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেরই প্রতিফলন। লাখো মানুষের কণ্ঠস্বর দৈনিক দিনকাল বন্ধের ফলে পত্রিকাটিতে কর্মরত হাজারো সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়বে। এমতবস্থায় দৈনিক দিনকাল পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষণাপত্র বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিকদের এনেতা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এনডিটিভি,এসইই


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা