" />
ভালোবাসার সুড়ঙ্গ’ রহস্যময় এক স্থান। একেবারে প্রাকৃতিকভাবেই গাছপালার সাহায্যে তৈরি হয়েছে এই টানেল বা সুড়ঙ্গ। একবার এই সুড়ঙ্গে ঢুকলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। সবুজে ঘেরা এই সুড়ঙ্গ দিয়ে অনেক দম্পতিই হাত হাত রেখে হেঁটে বেড়ান।
এজন্যই হয়তো এর নাম ‘লাভ টানেল বা ভালোবাসার সুড়ঙ্গ’। আসলে এই সুড়ঙ্গপথে সঙ্গীর হাতে হাত রেখে হেঁটে যাওয়া সিনেমার দৃশ্যের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সুড়ঙ্গে ঢুকলে মোটেও বের হতে ইচ্ছে করবে না।এ কারণে স্থানটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও জনপ্রিয় এক রোমান্টিক ডেস্টিনেশন। অতীতে লাভ টানেল ছিল রেলের একটি অংশ। আজ এটি বিশ্বপ্রেমীকদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। লাভ টানেলের পাশে সুদূরপ্রসারী বনে আচ্ছাদিত পর্বতমালা ও দুর্দান্ত কৃষ্ণ সাগর উপকূলরেখা আছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে দম্পতিরা সেখানে যান হানিমুনে। এমনকি অনেকেই লাভ টানেলে গিয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংও সেরে নেন। স্থানীয়রা ধারণা, এই সুড়ঙ্গে একে অন্যের হাত ধরে হাঁটলে দম্পতির মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।
ইউক্রেনের ক্লেভানে অবস্থিত লাভ টানেল। এটি আসলে একটি ট্রেনলাইন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে অপরূপভাবে সেজে উঠেছে এই টানেল। বর্তমানে সৌন্দর্যের পরিচায়ক টানেল অফ লাভ –র অসাধারণ রূপের পেছনে যার হাত রয়েছে সেটি হলো দ্য ওডেক প্লাইউড ফ্যাক্টরি। ক্লেভান থেকে কারখানা পর্যন্ত কাঠ সহজে কাঠ পৌঁছানো এবং পরবর্তী সময়ে ক্লেভানের পশ্চিম প্রদেশে উৎপাদিত পণ্য স্থানান্তর করার জন্য নিজ মালিকানায় ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। সেসময়ে রেললাইনের সীমানা পরিচয়ে দুই পাশে লাগানো হয় ফ্লোরা ফুলের গাছ। ১.৮ কি.মি ব্যাপী রেললাইনের মধ্যে ট্রেন সারাদিনে মাত্র তিনবার আসা যাওয়া করে। ফলে গাছগুলোও অনায়াসেই খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। একসময় বড় হয়ে দু’পাশের গাছের ডালপালা একত্রিত হয়ে টানেলের আকৃতি ধারণ করে। যার বর্তমান রূপ অভিভূত করে প্রায় সকলকে।
ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ক্লেভান ও ওরঝিভ গ্রামের মধ্যে অবস্থিত টানেল অব লাভ। কয়েক বছর আগেও এই টানেলের খবর জানা ছিল না কারোর। ২০০১ সালে আরএফইএল/আরএল’র সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফার অ্যামস চ্যাপল এর একটি প্রতিবেদন ইন্টারনেটে প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে এই টানেল অফ লাভ। তারপর থেকেই শুরু হয় মানুষের আনাগোনা। এই টানেল ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। পুরো টানেলই সবুজে আচ্ছাদিত। তবে প্রকৃতি যখন রং বদলায় তখন টানেলের রংও বদলায়।