" />
এনডিটিভি অনলাইন ডেস্ক
শরীরটা আগেই আইসিইউতে ঢুকে গিয়েছিল। বডিকে মৃত বলে ঘোষণা করে পরিবারের হাতে ডেথ সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়েছিল। শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। আর সেটাই হলো। আজ শুক্রবার চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট দাপটের সাথে জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া। এবং আড়াই দিনের আগেই এই লজ্জার হার হজম করার জন্য ভারত বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের রাস্তায় বড় হোঁচট খেল। ৯ উইকেটে হেরেছে ভারত। অন্যদিকে এই টেস্ট জিতে বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিলো অজিবাহিনী।
আগামী ৯ মার্চ শুরু হবে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। ভেন্যু আবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। নতুনভাবে গড়ে ওঠা এই স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র টেস্ট আয়োজিত হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই টেস্ট মাত্র আড়াই দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ঘূর্ণি পিচে গোলাপি বলের ওই টেস্টের দুই ইনিংসে মোট ৭০ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা। চলতি সিরিজের ফলাফল ২-১ হলেও, ভারত কিন্তু গত তিনটি টেস্টেই নিজেদের পছন্দের ঘূর্ণি পিচে খেলেছে। বিপক্ষকে বধ করতে চেয়েছে। তবে এবার সেই ছক বুমেরাং হল। তারকা ব্যাটাররা অসহায় মাথানত করার জন্য ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে হজম করতে হলো হার। তাই এমন প্রেক্ষাপটে বড় প্রশ্ন হল হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিতের থিঙ্কট্যাঙ্ক কি শেষ টেস্টেও ঘূর্ণি পিচে খেলতে চাইবেন? নাকি ছকে আসবে বদল!
বিপক্ষে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর থাকলেও মাত্র ৭৬ রানে লড়াই করা সম্ভব নয়। অতি বড় অঘটন না ঘটলে এই টেস্টে জয়ী দল হিসেবে যে অজিদের নাম লেখা থাকবে সেটা আগে থেকেই জানা ছিল। আর সেটাই হলো। তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ভারতকে সাফল্য এনে দেন অশ্বিন। খালি হাতে ফিরে যান উসমান খাজা। কিন্তু সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশান। ফলে ১৮.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৭৮ রান তুলে ম্যাচ নেয় স্টিভ স্মিথের দল। ট্রাভিস হেড ৫৩ বলে ৪৯ ও মার্নাস লাবুশান ৫৮ বলে ২৮ রান অপরাজিত থাকেন। ফলে লাঞ্চের আগেই ভারতের খেল খতম হয়ে যায়।
এই জয়ের ফলে সিরিজের ফলাফল এই মুহূর্তে ভারতের অনুকূলে ২-১ ফলাফলে দাঁড়িয়ে আছে। সিরিজ জিততে হলে কোনোভাবেই আহমেদাবাদ টেস্টে হারা চলবে না ভারতের। আর শুধু সিরিজ জয় কেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার জন্যও আহমেদাবাদ টেস্টে জয় ছাড়া উপায় নেই। কারণ, ওভালে বিশ্ব সেরার শিরোপার লড়াইয়ে নামতে হলে এই সিরিজটি অন্তত দু’ম্যাচের জিততে হবে ভারতকে।