" />
রংপুর ব্যুরো: কারমাইকেল কলেজ জিএল হোস্টেলে বহিরাগতদের হামলা আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে আকিমুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বহিরাগতদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাতে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত নয়টার দিকে তাজহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই কলেজের হল সুপার সিরাজুল ইসলাম ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০জনকে আসামী করে তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
তাজহাট থানা ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে জিএল হোস্টেলের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান ক্যাম্পাসের ভিতরে বাংলা মঞ্চের দিক দিয়ে যাচ্ছেছিলেন।
এ সময় এক বহিরাগত’র সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি সেখানে থেমেও যায়। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অর্ধশত বহিরাগত লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জিএল হোস্টেলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় লেখাপড়া করে কেবল হোস্টেল থেকে সিঁড়িতে পা রাখছি । এ সময় আমার ওপর অর্তকিত হামলা চালায় বহিরাগতরা। একজন আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। অল্পের জন্য প্রাণের বেঁচে যাই।’ ওই শিক্ষার্থী আরও অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা তাঁর থাকার রুমে ঢুকেও হামলা চালিয়েছে। তাঁর ফরম পূরণের ৪ হাজার ৮০০ টাকাও নিয়ে গেছে।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হামলা কারীরা হোস্টেলে ঢুকে চেয়ার টেবিল ও খাবারের থালাবাসন ভাংচুর করে।’
আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা রাতে কলেজে থাকি। আমাদের নিরাপত্তা নেই। দিন রাতে কলেজ প্রাঙ্গনে চলে মাদকের আড্ডা। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।’
কলেজর অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এটা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নয়, এটা আমার সন্তানদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এঘটনায় আমরা থানায় মামলা করেছি। হামলা কারীদের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে দিয়েছি।’
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদের বলেন, ‘ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কলেজ প্রাঙ্গনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এদিকে চরম নিরাপত্তআহীনতায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা।