" />
মাশরাফিকে নিয়ে কথা হচ্ছে, হোক আরো বহুযুগ। সুদূর পাকিস্তানে থেকেও সাকিব আছেন আলোচনায়, থাকাটাই স্বাভাবিক। দেশের ক্রিকেটার বলে কথা…তবে আঁধারে, আড়ালে, পর্দার ওপারে আরো একজন সাকিব ছিলেন লুকিয়ে; নামটা তার তানজিম হাসান সাকিব। গতরাতে সিলেটের জয়ের নায়ক, মাশরাফির দলের ফাইনালে যাবার নায়ক।
অধিনায়ক হয়তো অনুপ্রেরণা দেন, সাহস যোগান, কাঁধে হাত রাখেন; তবে কাজটা তো নিজেরটা নিজেকেই করতে হয়। যেই কাজটা গতরাতে বেশ ভালোভাবেই করেছেন তানজিম সাকিব। চার ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট, খুব যে আহামরি তা নয়। তবে তাকে সেরা করে তুলেছে তার করা শেষ ওভার। শেষ ৩ ওভারে যখন রংপুরের প্রয়োজন ৩৩ রান, হাতে ৭ উইকেট। তখন ১৮তম ওভারে এসে মাত্র ২ রান দিয়ে নুরুল হাসান সোহানের উইকেট; যেখানেই মূলত মোমেন্টাম ঘুরে আসে সিলেটের দিকে।
রংপুর অধিনায়ককে ফিরিয়ে দিয়েই মূলত সিলেটকে লড়াইয়ে ফেরান তানজিম। যাতে ভাঙে রংপুরের ৫৩ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী জুটি। একই ওভারে একাধিক বলে ডট দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন রংপুরের উপর, যেই চাপ সহ্য করতে না পেরে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ম্যাচের সেরা রান সংগ্রাহক রনি তালুকদার। ৬৬ রান করে ফেলা রনি আউট হলে অভাবনীয়ভাবে ম্যাচে ফেরে সিলেট। আর শেষ পর্যন্ত অলিখিত সেমিফাইনাল জয় করে পা রাখে ফাইনালে।
আগের ম্যাচগুলোতেও খেলেছিলেন, তবে ছিলেন নিতান্তই সাদা-সিধে। ৫ ম্যাচে উইকেট মোটে ছয়টি, ইকোনমিও দশ ছুঁই ছুঁই করে। তবে গতরাতে ছিলেন ব্যতিক্রমী। সোহানকে আউট করার আগে ফিরিয়েছেন ম্যাচের সবচেয়ে বড় নাম স্যাম বিলিংসকে। দলকে শিরোপার পথে রাখতে আগের রাতেই ইংল্যান্ড থেকে তাকে উড়িয়ে আনে রংপুর। তবে বিলিং জ্বলে উঠার আগেই মাত্র ১ রানে তাকে বেঁধে ফেলেন তানজিম সাকিব। দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাকে।
সব মিলিয়ে গতরাতে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে উঠেন তানজিম। যদিও বড় বড় নামের আলোয় মেঘে ঢাকা পড়ে তার আলো, তবে ইতিহাস অন্তত মনে রাখবে সিলেটকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলেছিলেন এক তরুণ পেসার, যার নাম তানজিম সাকিব।