" /> নীরব হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যা করবেন – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

নীরব হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যা করবেন

heart problem or illness e1676379698988

8 / 100


ডায়াবেটিস নেই, উচ্চ রক্তচাপ নেই, কোলেস্টেরল নেই, তবু হলো হার্ট অ্যাটাক! নীরবে, অপ্রত্যাশিতভাবে হলো।

এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির। তিনি যাচ্ছিলেন এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে। হঠাৎ গোঙানি, তারপর অজ্ঞান। আবিষ্কার করা হলো, তাঁর প্রায় সব ধমনি বন্ধ। সতর্কসংকেত ছিল না কোনো। তবে সময়মতো এনজিওপ্লাস্টি হওয়ায় প্রাণ বাঁচল।
প্রথমে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল কাছের একটি হাসপাতালে। তাঁর তখন কার্ডিওজেনিক শক চলছে। দেওয়া হলো সিপিআর ভেন্টিলেটর ট্রিটমেন্ট। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে নেওয়া হলো কার্ডিয়াক হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে চলেছিল ভেন্টিলেশন, সিপিআর। এরপর কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাবে করা হলো এনজিওগ্রাফি। হার্টের প্রধান ধমনি এলএডি ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ বন্ধ। সঙ্গে সঙ্গে এনজিওপ্লাস্টি করা হলো।

এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলো হৃদ্‌ছন্দ। কার্ডিয়াক সার্জন বলছিলেন, কেস ছিল গুরুতর। প্রতি মিনিটে অবনতি হচ্ছিল শরীরের অবস্থা। তাঁর ছিল ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন। সে জন্য হচ্ছিল বারবার হার্ট অ্যাটাক। এমন অভিজ্ঞতার পর তিনি নিয়েছিলেন ওষুধ—কোলেস্টেরল কমানো আর রক্ত পাতলা করার ওষুধ।
কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, এটি হলো যুবকদের মধ্যে টিপিক্যাল নীরব হার্ট অ্যাটাক।

কী ঘটেছিল
ধমনিদের মধ্যে হয়তো ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্লাক। তা খুব বেশি সমস্যার ছিল না। কোলেস্টেরলের মানও ছিল স্বাভাবিক বা অবিপজ্জনক। তবে কোনো ট্রিগার, যেমন মানসিক চাপ প্লাক ভেঙে দেয়। এরপর রক্ত জমাট বাঁধে।

তাঁকে দেওয়া হয়েছিল লাইফস্টাইল পরিবর্তনের পরামর্শ, পরিমিত ব্যায়াম ও সঠিক ডায়েট।

নীরব হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যা করবেন

শরীরচর্চা করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করা ভালো। খুব বেশি বসে না থেকে দাঁড়াতে হবে, চলতে হবে।
বসে কাজ করতে হলে আধা ঘণ্টা পরপর উঠে দাঁড়িয়ে স্ট্রেচিং বা পায়চারি করতে হবে।
ধূমপান ও মদ্যপান বাদ দিতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার ভালো। এ ক্ষেত্রে মেডিটেরানিয়ান ডায়েট বেছে নিতে পারেন। এতে খাবারে থাকবে প্রচুর সবজি, ফল, অলিভ তেল, মাছ, ডাল, বাদাম, লাল আটার রুটি এবং ওট মিল। একটি ৯ ইঞ্চি প্লেট নিয়ে এর অর্ধেক ভরে ফেলুন শাকসবজি, ফলে, এক-চতুর্থাংশ হোল গ্রেন বা পূর্ণ শস্যে, আরেক অংশ ভরুন প্রোটিনে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সঙ্গে দুধ ও ডিম রাখুন।
মানসিক চাপ মোকাবিলা করুন।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যেমন প্রাণায়াম বা যোগব্যায়াম করুন।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা