" /> নারাজি আবেদন দাখিলের সময় চাইলেন ফারদিনের বাবা – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

নারাজি আবেদন দাখিলের সময় চাইলেন ফারদিনের বাবা

727797 125

7 / 100

    বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় ডিবির তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিলের সময় চেয়েছেন মামলার বাদি কাজী নূর উদ্দিন রানা।

    মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

    এদিন বাদির আইনজীবী নারাজি দেয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

    গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

    এর আগে ৮ জানুয়ারি ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তার বান্ধবী বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

    নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হন পরশ। এরপর তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

    ফারদিন নূর পরশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে পরশ সবার বড়।

    তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায়। তবে গত দুই বছর ধরে তারা সপরিবারে রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা একটি ইংরেজি পত্রিকায় দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন।

    ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ নভেম্বর ভোর ৩টার দিকে বুশরার নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে আসামি করে পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ডিবির দাবি, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় বুশরার কোনো সম্পৃক্ততা তারা পায়নি।

    মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হয়, মাদক কিনতে গিয়ে মাদক গ্যাংয়ের হাতে খুন হয় ফারদিন। আবার বলা হয়েছে, চনপাড়া বস্তিতে খুন হয়েছেন ফারদিন।

    একই দাবি করা হয় ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকেও। গত ১৫ নভেম্বর র‍্যাব দাবি করে, ফারদিন হত্যায় জড়িত চনপাড়া বস্তির মাদক গ্যাং রায়হান গ্রুপ। এতে হত্যায় জড়িত থাকা ১০-১২ জনকে শনাক্ত করার কথাও বলা হয়।

    গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়, মাদক কিনতে গিয়েই চনপাড়া বস্তিতে খুন হয়েছেন ফারদিন। খুন করার পর সাদা প্রাইভেটকারে লাশ বের করা হয় বস্তি থেকে। পরে ফেলে দেয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। একাধিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় এমন সংবাদ। আর এসব সংবাদের সোর্স হিসেবে উল্লেখ করা হয় গোপন সূত্র।

    পরে অবশ্য ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুন করা হয়নি, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।


    আপনার মতামত লিখুন :

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *


    ফেসবুকে আমরা