" />
রংপুর ব্যুরোঃ পেশাগত দাংিয়ত্ব পালনে বাঁধা প্রদান গ্রেফতার করার হুমকি দুই টেলিভিশন ফটো সাংবাদিককে আটকিয়ে রাখার প্রতিবাদে দায়ি রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিশেষ পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইনকে পিপির দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত সহ শাস্তির দাবিতে রংপুরে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাংবাদিকরা। আজ রোববার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।
রংপুর ভিডিও জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুর রিপোটার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ৭১ টিভির সাংবাদিক শাহ বায়েজিদ আহাম্মেদ , সিটি প্রেসক্লাবের কোষাধাক্ষ জীবন , একুশে টিভির সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল, দীপ্ত টেলিভিশনের সাংবাদিক বাবলুর রহমান বারী,নিউজ ২৪ টিভির রেজাউল করিম মানিক, চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক ফকরুল শাহিন যমুনা টিভির মাযহারুল মান্নান, এশিয়া টিভির বায়েজিদ ওসমানী সহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ গত বৃহসপতিবার রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত ১ এর বিশেষ পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট নিজেই সাংবাদিকদের ফোন করে ওই আদালতে দুই কিশোরী ধর্ষন ও হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করবেন বলে খবরটি সংগ্রহ করতে আসার আহবান জানান। খবর পেয়ে রংপুরে কর্মরত সকল বেসরকারী টেলিভিশনের রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সন , প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা ওই আদালতে যান। মামলায় এক আসামীর ফাঁসি ও এক আসামীর ৭ বছর কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষনার সময় সরকার পক্ষের আইনজিবী রফিক হাসনাইন আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বক্তব্য নেবার জন্য খোজ করলে জানা যায় তিনি রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ৬ তলায় কোতয়ালী আমলী আদালতে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় আসামী পক্ষে জামিন শুনানী করতে গেছেন। এ খবর পেয়ে টেলিভিশন ও পত্রিকার সাংবাদিকরা তার বক্তব্য নেবার জন্য সেখানে গেলে পিপি রফিক হাসনাইন আদালত থেকে বের হয়ে বলতে থাকেন আসামীদের কোন ছবি নেয়া যাবেনা ছবি নিলে গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি দেন। শুধু তাই নয় তিনি দুজন টেলিভিশনে কর্মরত ক্যামেরাপার্সনকে আটক করে আদালতের ভেতরে নিয়ে যান। সাংবাদিকরা কোন ছবি নিতে আসেননি তার বক্তব্য নিতে এসেছে জানালেও তিনি শাসাতে থাকেন এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের চলে যেতে বাধ্য করেন। পরে সিনিয়র সাংবাদিকরা এসে আটক করে দুই সাংবাদিককে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা পিপি রফিক হাসনাইনের চেম্বারে গেলে তিনি আবারো তাদের সাথে অশোভন আচরন করেন। ঘটনাটি রংপুর আইনজিবী সমিতির সভাপতিতে অবহিত করে আজ রোববার বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করে।
সমাবেশ থেকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বলা হয় এই সময়ের মধ্যে পিপি রফিক হাসনাইনকে পিপি পদ থেকে অপসারন করতে হবে অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। সেই সাথে পিপি হাসনাইনকে অনিদৃষ্টকালের জন্য বয়কট করার ঘোষনা দেয়া হয়। সমাবেশ শেষে সাংবাদিকরা আইনজিবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক এ্যাডভোকেট ও জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথক স্মারক লিপি প্রদান করে।