" />
এলিমিনেটর পর্বের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ১৭০ রানেই থেমেছে বরিশালের ইনিংস। বরিশাল ৩ উইকেট হারালেও এইদিন ব্যাট হাতে বাইশগজে আসেননি সাকিব আল হাসান। তবে দারুণ ব্যাট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ফলে কোয়ালিফায়ার করতে হলে তাই রংপুরের চাই ১৭১ রান।
রোববার টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রংপুরকে চাপে রাখে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি। যদিও এইদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে আসেননি নিয়মিত ওপেনার এনামুল হক বিজয়, তার বদলে ওপেনিংয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গী বিধ্বংসী ক্যারিবীয় আন্দ্রে ফ্লেচার। তবে এইদিন বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেননি ফ্লেচার, ঝড় হয়ে উঠার আগেই ফেরেন ১৬ বলে ১২ রানে।
ফ্লেচার ১২ রানে ফিরলেও মিরাজের সাথে গড়ে দিয়ে যান বড় সংগ্রহের ভিত্তি। তাদের দুজনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪৬ রান। ওয়ানডাউনে নেমে জ্বলে উঠেন মাহমুদউল্লাহও, মিরাজের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়াতে থাকেন দলের সংগ্রহ। তবে ২১ বলে ৩৪ করে তিনি ফিরে গেলে ভাঙে দু’জনের জুটি। এই জুটি থেকে আসে ৪৯ বলে ৬৯ রান।
মাহমুদউল্লাহ আউট হলে সবাই যখন সাকিবের অপেক্ষায়, তখন সবাইকে অবাক করে মাঠে আসেন করিম জানাত। যদিও মিরাজের সাথে তার জুটিটা বড় হয়নি মিরাজ আউট হলে। অবশ্য আউট হবার আগে যা করার, তাই করে দিয়ে গেছেন মিরাজ। খেলেন ৯ চার ১ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস।
মিরাজ আউট হলেও সাকিব আসেননি, আসেন রাজাপাকশে। তবে হঠাৎ কমে আসে রানের গতি, হারিয়ে ফেলে শুরুর ধাচ। যদিও শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রান আসলে মানানসই হয় বরিশালের ইনিংস; ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আসে ১৭০ রান। জানাত ২৫ বলে ৩৩ ও রাজাপাকশে ১০ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। রংপুরের হয়ে ইসরু উদানা ২৩ রানে নেন ২ উইকেট।