" />
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ছোট বোন মোসা. শামীমা আক্তারের দেওয়া লিভার নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান । বুধবার বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার দুপুরে কেবিন ব্লকের চতুর্থ তলায় বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ “মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম” এর অংশ হিসেবে সম্পন্ন করা লিভার ট্রান্সপ্লান্টের রোগী মো. মন্তেজার রহমান সুস্থ হওয়ায় তার হাতে ফুল দিয়ে বিদায় জানান।
বিএসএমএমইউর একটি সূত্র জানায়, বগুড়া জেলার মো. মন্তেজার রহমান লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের রোগী ছিলেন। তিনি নন-বি, নন-সি জনিত“এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে” আক্রান্ত ছিলেন। মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তার বোন মোসা. শামীমা আক্তার। গত ১ জানুয়ারি তাদের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সফল অস্ত্রোপচার করে বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। ১২ ঘন্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অস্ত্রোপচারে সহযোগীতা করে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।
মোসা. শামীমা আক্তারের দেহ থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। মো. মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করা হয় এবং মোসাঃ শামীমা আক্তারের দেহ থেকে কেটে নেওয়া সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ জোড়া দেওয়া হয়।
এখানে উল্লেখ্য, লিভার দাতা মোসা. শামীমা আক্তারের লিভারটি ধীরে ধীরে রি-জেনারেট করবে। এটি লিভার নামক অঙ্গটির একটি বিশেষত্ব। এর আগে গত মাসেই লিভার দাতা মোসা. শামীমা আক্তারকে বাড়িতে পাঠানো হয়।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন, হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলে মো. মন্তেজার রহমান ও তার বোন মোসা. শামীমা আক্তারসহ সকল রোগীর জন্য প্রার্থনাও করেন।