" /> দেশে বিসিএসআইআর, বিএসএমএমইউ ও ঢাবি যৌথভাবে উদ্ভাবিত – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

দেশে বিসিএসআইআর, বিএসএমএমইউ ও ঢাবি যৌথভাবে উদ্ভাবিত

WhatsApp Image 2023 02 07 at 18.29.40 min

5 / 100

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উদ্ভাবিত করোনা কিটের ব্যবহারিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বিএসএমএমইউর বি ব্লকের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস শ্রেণি কক্ষে করোনা কিটের ব্যবহারিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যৌথ উদ্যোগে করোনা কিটের ব্যবহারিক কার্যক্রমের উদ্ভাবন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান আফজালুন নেছা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আহসান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ।

অনুষ্ঠানে মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএসএমএমইউয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ণয়ক এন্টিবডি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের ধরণ শনাক্তকরণ কার্যক্রম অর্থাৎ জেনোম সিক্যুয়েন্সিং নিয়ে একাধিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজকে করোনা ভাইরাসের যে কিটটি উদ্ভাবিত হলো তাও গবেষণার ফলে সম্ভব হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমেই একদিন ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, বিসিএসআইআর, বিএসএমএমইউ ও ঢাবি অর্থাৎ দেশে উদ্ভাবিত কিটটি শতগুণে ভালো। এটা এটি দেশের একটি বিরাট অর্জন। এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে অত্যন্ত স্বল্প খরচে নির্ভুলভাবে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এই কিটটি উদ্ভাবনের ফলে সারা দেশে একটা সময়ে এই কিটটিকে সর্ববরাহ করা সম্ভব হবে এবং বিদেশ থেকে ডলার খরচ করে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও তরিৎ পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ করোনা মহামারীকে সফলভাবে মোকাবিলা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতো বিএসএমএমইউসহ অন্যন্যা প্রতিষ্ঠানের গবেষণার মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের শনাক্তকরণের বিশ্বমানের একটি কিট উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই কিটের ন্যূনতম শনাক্তকরণ ক্ষমতা ১০০ কপি ভাইরাস/মিলি, যেখানে আমদানি করা অন্য কিটগুলোর শনাক্তকরণ ক্ষমতা ১ হাজার কপি ভাইরাস/মিলি। অর্থাৎ বিসিএসআইআরের কোভিড কিট দ্বারা একেবারেই ন্যূনতমসংখ্যক ভাইরাসকে শনাক্ত করা যাবে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা সম্ভব হবে। অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ে আরএনএ এক্সট্রাকশনের পদ্ধতিতে উদ্ভাবন করা হয় এ কিট। এ জন্য কিটের উৎপাদন খরচ বাণিজ্যিক কিটগুলোর চেয়ে কম। তাই উদ্ভাবিত এই কিট দ্বারা প্রতিটি শনাক্তকরণ পরীক্ষায় খরচ হবে ২৫০ টাকা।

এই করোনা কিটের বৈশিষ্ট হলো Ñইঈঝওজ ঈঙঠওউঊজ টি গ জিনকে টার্গেট করে করা হয়েছে। গ জিনের গঁঃধঃরড়হ তুলনামূলক কম ও বিশ্বে প্রথম গ জিনকে টার্গেট করে কোভিড ডিটেকশন কিট আবিষ্কৃত হয়েছে, উক্ত কিটটির জন্য যে ঢ়ৎরসধৎ এবং ঢ়ৎড়নব বহার করা হয়েছে তা ইঈঝওজ এর বিজ্ঞানীগণ কর্তৃক ডিজাইনকৃত, যার ফলে কিটটি বাজারে প্রচলিত এর চেয়ে আলাদা। উদ্ভাবিত কিট এর ঝঢ়বপরভরপরঃু, ঝবহংরঃরারঃু এবং অপপঁৎধপু গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এর সমমান ও বাণিজ্যিক কিটগুলি থেকে উন্নত মানের। কিটটির খরসরঃ ড়ভ উবঃবপঃরড়হ (ওঙউ) ১০০ কপি ভাইরাস/মিলি যা বাজারে প্রচলিত কিটের চেয়ে অনেক কম, তাই এই কিটটি ইনফেকশনের শুরুতেই কোভিড ১৯ শনাক্ত করতে সক্ষম। এই কিটটি সকল ধরনের ভ্যারিয়েন্ট (অষঢ়যধ, ইবঃধ, এধসসধ, উবষঃধ, ঙসরপৎড়হ) ইত্যাদি শনাক্ত করতে সক্ষম। উক্ত কিটটি এষুপড়মবহ ব্যবহার করে জঘঅ বীঃৎধপঃরড়হ পদ্ধতি উদ্ভাবন করায় স্বল্প খরচে কোভিড-১৯ টেস্ট করতে সক্ষম।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন শিরিন তরপদার, অধ্যাপক ডা. শিশু অনুষদে ডিন রঞ্জিত রঞ্জণ রায়, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা আনজুমান বানু, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. শাহ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা