" />
নিজস্ব প্রতিবেদক: “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল এবং তার বাহিনীর ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
রবিবার ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মো. শাহ জালাল, মোকাব্বির হোসেন আয়ান, ইমন সরদার, মো. রাসেল, মো. সুজন, মো. মুন্না হোসেন, মো. রাজু, মো. হাসান, মো. লিখন, মো. জিসান, মো. রায়হান শেখ, মোমিদ হোসেন, মো. রাব্বি, মো. আপন খন্দকার, মো. হৃদয় ও মো. নাজিম। সোমবার দুপুরে র্যাব-১০ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার র্যাব-১০ এর একটি দল ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান চালায়। অভিযানে মো. শাহ জালাল, মোকাব্বির হোসেন আয়ান, ইমন সরদার, মো. রাসেল, মো. সুজন, মো. মুন্না হোসেন, মো. রাজু, মো. হাসান, মো. লিখন, মো. জিসান, মো. রায়হান শেখ, মোমিদ হোসেন, মো. রাব্বি, মো. আপন খন্দকার, মো. হৃদয় ও মো. নাজিম নামের “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তারা জালাল ওরফে পিচ্চি জালালের নেতৃত্বে ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ জায়গায় একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। আর আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ কেড়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত। গ্রেপ্তারকৃত কিশোর অপরাধীরা র্যাবের কাছে স্বীকার করে যে, চুরি তারা ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি এবং তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের অসামাজিক ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল।
র্যাবের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত ১৬ জন কিশোর গ্যাং এর মধ্যে মো. শাহ জালাল, মোকাব্বির হোসেন আয়ান, ইমন সরদার, মো. রাসেলের বিরুদ্ধে শ্যামপুর ছিনতাই মামলায় আর মো. সুজন, মো. মুন্না হোসেন, মো. রাজু, মো. হাসানের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় অপর ছিনতাই মামলায় মোট আটজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকী আটজনকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র্যাব-১০ তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।