" /> কারিপাতা ব্যবহারের অসাধারন উপকারিতা – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ

কারিপাতা ব্যবহারের অসাধারন উপকারিতা

karipata e1675093559379

কারিপাতা অত্যন্ত উপকারী গাছ। নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহারের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। চলুন কারিপাতার গুনাগুন জেনে নেওয়া যাক।

কারিপাতা বা কারি পাতার রসে থাকা আয়রন, জিঙ্ক এবং কপার থাকায় তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা মেশালে ডায়াবেটিসের সমস্যা কমে। বেশি ভাল ফল পেতে কয়েকটি কারি পাতা একটু ভিজিয়ে চিবিয়ে নিতে পারেন।

কারিপাতা যারা নিয়মিত খান, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। খাবারে নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহার করল বা নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে। কারিপাতার রস করে খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়। ১৫-২০টি কারি পাতা এক গ্লাস পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তার পরে পানি ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। টানা কয়েক দিন এই রস খেলেই কমবে ওজন।

মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতেও কারিপাতার জুড়ি পাওয়া ভার। পুরোনো আমলে মানুষরা বলেন নিয়মিত কারিপাতা খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আর আধুনিক বিজ্ঞান বসে যে কারিপাতা অ্যামনেশিয়া নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ দেয়।

রোগ প্রতিরোধ করে কারিপাতা। এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি। যা শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বাড়ায়। কারিপাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার এবং ভিটামিন। এই পাতার নিয়মিত ব্যবহারে শরীর এসবের ঘাটতি পূরণ হয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। কারিপাতার পাশাপাশি তার রসও একই রকম উপকারি।

কারিপাতায় আছে উপকারী অ্যালকালয়েড। যে কোনও আঘাত বা জখম অনায়াসে নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি। কারি পাতা সিদ্ধ পানি চুলকানি, অল্প পোড়া, ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়। কারি পাতা বাটা খুব ভালো অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।

চুল পড়ার হাতা থেকেও মুক্তি দেয় কারিপাতা। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শুধু তাই নয় ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কারি পাতার কোনও তুলনা হয় না।

নিয়মিত কারিপাতা খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ হয়। হজমের সমস্যা, গ্যাস ইত্যাদি সেরে যায়।

চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা খাওয়া খুব ভালো। কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ-র প্রভাবেই চোখের কর্নিয়া ভালো থাকে বলে অনেকে দাবি করেন।

কারি পাতা কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ থেরাপির জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে।

কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

কারিপাতা বেটে বা তেলে গরম করে মাথার তালুতে হালকা করে মাসাজ করলে তা পুষ্টি পায়। কারিপাতা বাটা এবং দইয়ের মিশ্রণ চুলে মাখলে দারুণ কন্ডিশনারের কাজ দেয়। নারিকেল তেল গরম করে তাতে কারি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে মাথায় মাখুন। চুল পড়া বন্ধ হবেই। কারিপাতার রস কিংবা কাঁচা কারিপাতা খেলেও চুলের দারুণ উপকার হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা