" />
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা। গতকাল সন্ধ্যায় সমাপনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের আসরের পর্দা নামে। ঢাকা ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত পণ্য ও সেবার উপস্থাপনা ছিল এবারের মেলায়।
গত বৃহস্পতিবার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের, সংযুক্তির মহাসড়ক’— প্রতিপাদ্য সামনে রেখে শুরু হয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে দুই শতাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। নিজেদের প্রদর্শনীতে বিভিন্নরকম প্রযুক্তিগত সমাধান, উদ্ভাবন, পণ্য ও সেবা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ খাতে নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি উদ্ভাবনী সমাধানগুলো তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা; যার বেশিরভাগই ছিল প্রটোটাইপ ভিত্তিক। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তেমনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি প্রকল্প ‘ইকো চার্জ’। ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ দেওয়ার এই উদ্ভাবন নিয়ে ইকো চার্জ দলের সদস্য আশফাকুল জামী বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই ফলাফল দিতে সক্ষম এমন একটি চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছি। এটি সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ইলেকট্রিক গাড়িতে চার্জ দিতে পারবে।
দর্শনার্থীদের ব্যাপক আগ্রহে বেশ উৎফুল্ল আয়োজকরাও। মেলা আয়োজনের অন্যতম সহযোগী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, মেলায় বিনামূল্যে নিবন্ধের একটা বিষয় ছিল। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে ৬০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী নিবন্ধন করেছেন। আমাদের হিসাব বলছে, এর তিনগুণ বেশি দর্শনার্থী এসেছেন। সেই হিসেবে প্রায় পৌনে ২ লাখ দর্শনার্থী এবারের মেলা প্রদর্শন করেছেন।