" /> বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির সূচনা হয়েছে : সেলিম – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন

বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির সূচনা হয়েছে : সেলিম

722939 178

7 / 100

আওয়ামী লীগ সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির সূচনা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দীন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ ’৭২-এর সংবিধানের জন্য ‘মাছের মায়ের পুত্রশোক’-এ কাতর হলেও তাদের প্রথম মেয়াদেই সংবিধানের ৪ বার সংশোধনী আনা হয়েছে। এমনকি ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন ও দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশালী শাসনতন্ত্র কায়েম করা হয়। সংসদে উত্থাপনের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে অতিদ্রুততার সাথে এই বিল পাশ করা হয়। যা বিশ্বের গণতন্ত্রের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ও কালো অধ্যায়।

তিনি বলেন, ওই বছরের ১৬ জুন রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি পত্রিকা বাদে সকল পত্রিকার ডিক্লিয়ারেশন বাতিল করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। ১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের ফলে আওয়ামী লীগ পুনর্জন্ম লাভ করে। তাই আওয়ামী বাকশালীদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ‘ভূতের মুখে রাম নামের’ মতোই শোনায়।

মহানগরী আমির বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ২০০৮ সালে অপশক্তির সাথে সমঝোতা করে ক্ষমতায় এসে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রক্ষাকবজ কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। তারা ২০১৪ সালে তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে নৈশভোটে ক্ষমতায় এসে দেশে অঘোষিত বাকশাল, ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছে। তারা একই কায়দায় আগামী নির্বাচনেও নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্নবিলাসে বিভোর। কিন্তু জনগণ কখনোই তাদের চৌর্যবৃত্তির নির্বাচনের পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না।

তিনি সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। অন্যথায় জনগণ দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় করবে।

তিনি বলেন, সরকারের জনসমর্থন এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তারা এখন আমলা, পুলিশ ও নাস্তিক্যবাদী নির্ভর হয়ে পড়েছে। মূলত, সরকারের গণবিচ্ছিন্নতার সুযোগই গণধিকৃত ডারউইনের প্রেতাত্মারা সরকারের ঘাড়ে ভর করে পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিক্যবাদ ও বিবর্তনবাদী কুফরী দর্শন ঢুকিয়ে জাতিকে ধর্মহীন, নাস্তিক ও যৌনোন্মাদ বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু দেশের সচেতন ও ধর্মপ্রাণ জনতা তাদেরকে কোনোভাবেই বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।

তিনি অবিলম্বে পাঠ্যসূচি থেকে ইসলাম ও ধর্মবিরোধী সকল অধ্যায় প্রত্যাহার করে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতি রেখে নতুন করে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের আহ্বান জানান।

সেলিম উদ্দিন বলেন, সরকার নিজেদের পতন ঠেকানোর জন্যই দেশের পরিচ্ছন্ন ও প্রবীণ রাজনীতিক আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে আত্মতুষ্টিতে ভূগছে। তারা চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র অচিরেই হরিষে-বিষাদে পরিণত হবে।

তিনি জুলুম-নির্যাতন পরিহার করে অবিলম্বে আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এ টি এম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় জাতীয় নেতাদের জনগণই মুক্ত করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা