" />
বুধবার (২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবে )জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ উদ্যোগে পাঠ্যপুস্তকে ভুল তথ্য: একটি পর্যালোচনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন,
অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আলিম রেজভীর বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। অবশ্যই তা সু-শিক্ষা। শিক্ষার প্রধান উপকরণ হল পাঠ্যপুস্তক। আর সেই পাঠ্যপুস্তকে আধুনিকতার নামের অশ্লিলতা দিয়ে, ধর্মহীনতা কিংবা ধর্মীয় রীতি-নীতিকে উপেক্ষা করে কখনোই জাতিকে সু-শিক্ষিত করা যায় না। বর্তমান সরকার জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন এবং বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সাধারণ শিক্ষাক্রমে এমন কিছু থাকবে না যাতে দেশের বেশির ভাগ জনগণের ঈমান, আকীদা, মননশীলতা, সামাজিক ধ্যান-ধারণার সাথে বৈপরীত্ব দেখা দেয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা বজায় রেখে আধুনিকায়ন করা হবে। শতবর্ষের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, মাদ্রাসা সমূহের ভবন নির্মানের মত কর্মকাণ্ডগুলো এদেশের ইসলাম প্রিয় মুসলিম জনতা খুব আস্থার সাথে গ্রহণ করেছে। তবে সরকারের ঘাড়ে চেপে একটি মহল নাস্তিক্যবাদের বীজ বপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রগতিশীলতার নামে তারা নাস্তিক্যবাদের প্রতি অতি উৎসাহী। যার প্রতিফলন ঘটেছে ২০২৩ সালে পাঠ্যপুস্তকে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা দেখছি, মুসলিম প্রধান এই বাংলাদেশে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বাইত, মুসলিম মনীষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বানীসহ নীতি-নৈতিকতাবোধ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো অনেকাংশেই উপেক্ষিত। বিপরিতে গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে পুরানের কাহিনী, গ্রীক, বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মের বিভিন্ন বিশ্বাসসহ দেব-দেবীর নাম, নগ্ন ও অর্ধনগ্ন নানা মূর্তি, ভাস্কর্য, মন্দির ও বিহারের ছবি ও বর্ণনা। বিজ্ঞানের নামে নগ্ন অশ্লীল ছবি ও বয়স উপযোগী নয় এমন। বিষয়গুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে পাঠ্যবইয়ে কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী বিষয় বাদ দেয়া এবং ভুলভ্রান্তি সংশোধনে মতামত প্রদানের জন্য গত ১৮ জানুয়ারী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাত চেয়ে চিঠি প্রদান করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি কোন সাড়া না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই গোলটেবিল বৈঠক। বড় দাগে আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়া যে কয়েকটি আপত্তির বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি :
অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ বলেন-পাঠ্যপুস্তকে বিকৃত কাল্পনিক ও বিকৃত ইতিহাস জাতির ধ্বংসে ডেকে আনবে। তিনি আরও বলেন-ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য একটি গোষ্ঠী পাঠ্যপুস্তকে বিকৃত ইতিহাস, কাল্পনিক ছবি, আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে বানর থেকে সৃষ্টি এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা জাতিকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করছে।
পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কারণ:
১। বিবর্তবাদের মত কুরআন বিরোধী কুফুরি তথ্য শিখে শিক্ষার্থীদের ধর্মান্তরিত হওয়ার পথ সুগম হবে। ২। ট্রান্সজেন্ডারের মত ঘূর্ণিত পদ্ধতির প্রতি শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হবে।
৩। মুসলিম শিক্ষার্থীরা ইসলামের মৌলিক বিষয় তৌহিদের শিক্ষার পরিবর্তে বিভিন্ন দেব-দেবির পুজার প্রতি আকৃষ্ট ও বহুঈশ্বরবাদী হয়ে উঠবে।
৪। ইসলামী পরিভাষার পরিবর্তে দেব-দেবি, দেবতা ইত্যাদি পরিভাষাগুলো মুসলিম শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে তারা ইসলাম বিমুখ হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৫। ইসলাম ও মুসলিম রাজা-বাদশাদের ব্যাপারে ঘৃণা তৈরী হবে এবং বিকৃত ইতিহাস শিখবে।
৬। ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ এমন বাদ্যযন্ত্রের প্রতি মুসলিম শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হবে।
৭। পর্দা, টুপি ও দাঁড়ির মত ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের ঘৃণা তৈরী হবে
। ৮। শান্তিপূর্ণ এই বাংলাদেশে উগ্রবাদিরা মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করার
গোলটেবিল বৈঠকে ৮ দফা দাবী পেশ করা হয়।
১) বিবর্তনবাদের মত কুরআন বিরোধী কুফরি তথ্য শিখে শিক্ষার্থীদের ধর্মান্তরিত হওয়ার সুগম হবে
২) ট্রানসজেন্ডারের মত ঘৃণিত পদ্ধতির প্রতি শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হবে
৩) মুসলিম শিক্ষার্থীরা ইসলামের মৌলিক বিষয় তৌহিদ শিক্ষার পরিবর্তে বিভিন্ন বিভিন্ন দেব- দেবওর পুজার প্রতি আকৃষ্ট ও বহু ঈশ্বরবাদী হয়ে উঠবে
৪) ইসলামি পরিভাষার পরিবর্তে দেব- দেবগা ইত্যাদি পরিভাষাগুলো মুসলিম শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে তারা ইসলাম বিবুখ পথ প্রশস্ত হবে
৫) ইসলাম ও মুসলিম রাজা- বাদশাদের ব্যাপারে ঘৃনা তৈরী হবে এবং বিকৃত ইতিহাস শিখবে।
৬) ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ এমন বাদ্যযন্ত্রের প্রতি মুসলিম শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট হবে।
৭) পর্দা, টুপি ও দাঁড়ির মত ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের ঘৃনা তৈরী হবে
৮) শান্তিপূর্ণ এই বাংলাদেশে উগ্রবাদী মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করার পথ সুগম হবে।
উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন,অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আলিম রেজভীর মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন আহলে সুন্নাতের নির্বাহী মহাসচিব মুফতি আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জননেতা অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ এছাড়া গোলটেবিলে আলোচক ছিলেন- মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, প্রথম আলোর কলামিস্ট শাইখ উসমান গনী, আহলে সুন্নাতের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, কাজী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট কাজী মুহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন দুলাল, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ আখতার ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু জাফর টিপু, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জামান কাজল, এডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাসান, এডভোকেট সৈয়দ মুখতার আহমদ সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, শাফায়াত উল্লাহ, রেহানে মুস্তফা, মুহিব উল্লাহ সিদ্দিকী প্রমূখ।