" />
রংপুর ব্যুরো: রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। জেলার উপজেলাগুলোর চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে বোরো রোপন করা হচ্ছে ধানের চারা। শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে চলছে কৃষকদের ব্যস্ততা।
জানা যায়, আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজ রোপণের হিড়িক পড়েছে রংপুর জেলার ৮টি উপজেলায়। অন্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে রংপুর জেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।খরচের তুলনায় আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা। রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসরন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসী জাতের ধান বেশি আবাদ হয় এই জেলায় । এছাড়াও হিরা-১, হিরা-২, সোনার বাংলা, ব্রি ধান ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি ৮১, ব্রি -৭৪, ব্রি -৮৯ সহ স্থানীয় নানা জাতের কিছু ধানের চাষও করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হলেও জমিতে চাষাবাদ ঠিকমতো করতে দেরি হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে ঘুওে দেখা গেছে, রংপুর জেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা ভোর থেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের ক্ষেতে। শীত উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপন করছেন তারা। নদী তীরবর্তী জমি গুলোতেও রোপণ করা হচ্ছে বোরো ধান। তিস্তা, ঘাঘট,যমুনাশ^রী,করতোয়া নদের চরাঞ্চলের জমিতে প্রতি বছরই ধানের বাম্পার ফলন হয় বলে জানান কৃষকেরা । তবে ধানের চারা রোপণে স্থানীয় কৃষকেরা দুর-দুরান্ত থেকে শ্রমিক আনতে হয়,এতে খরচ বেশি লাগে ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে । জেলার পীরগাছা কৃষক কালাম মিয়া জানান প্রতি বছরের ন্যায় এবারে তেলের দাম অনেক বেশি শ্রকিকেরও মুল্য বেশি কৃষকের পোষাবেনা । মিঠাপুকুর, উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের কৃষক জালাল উদ্দিন জানান প্রতি বছর বোরো ধানের চাষ করি।
এবার করছি সব জিসিনপত্রের দাম অস্বাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষেকেরা হতাশ,সার তেল ও বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিক পরিমানে লোকশান গুনতে হবে কৃষকদের। শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে,তা না হলে জমি বিক্রি করে চলতে হবে। জিসিনপত্রের দাম বেশি থাকায় বোরো ধান চাষে ব্যয় অনেক বেশি হচ্ছে। বীজ ভালো হলে আশা করি ফলনও ভালো আসবে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়েদুল হক মন্ডল জানান, এবারে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮শ বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড ৫.৮১ মেট্রিক টন এবং উচ্চ ফলনশীল ৬.২৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলন হওয়ার আপার সম্ভবনা রয়েছে।