" />
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশের সেবা দেওয়া মূল কেন্দ্র থানা। থানায় আসা সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যা সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করে যথাযথ আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। তিনি এক্ষেত্রে তদারকি বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে নির্দেশনা দেন।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন। সভায় সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারা যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতিতে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। পুলিশ এ নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, পুলিশের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
আইজিপি মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অপরাধ দমনে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে গৃহীত স্বচ্ছ নীতি জনমনে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট থাকার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন আইজিপি।
এরআগে সকালে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাসিক
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিসেম্বর ২০২২ মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য ডিসেম্বর ২০২২ মাসে পূর্ববর্তী নভেম্বর ২০২২ মাসের তুলনায় মোট রুজুকৃত মামলা, ডাকাতি মামলা, খুন মামলা, ধর্ষণ মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হ্রাস পেয়েছে।
এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের প্রান্তে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।