" />
দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে ষড়যন্ত্র ও আলেম-ওলামাদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কোর্টে হাজির করার বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহহিয়া ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃবিতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানের সন্তানদের ইমান আকিদা ও দেশপ্রেম ধ্বংসের জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ইসলামবিরোধী শক্তির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তারা মুসলমানের সন্তানদের নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা তৈরি করার জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষা সিলেবাসের পরতে পরতে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ডারউইনের কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদ ও আরএসএস-এর হিন্দুত্ববাদ দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বানর থেকে মানুষ সৃষ্টির কুরআন-হাদীস বিরোধী মতবাদ পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা হয়েছে। হিজাব থেকে শুরু করে দাড়ি_ ইসলামের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার বিষয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।
তারা বলেন, ‘আমাদেরকে বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিলো পাঠ্য বইয়ে ইসলামবিরোধী কিছু থাকবে না। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি। সর্বোচ্চ মহলের কাছে দাবি জানানোর পরেও ইসলাম বিরোধী মতবাদগুলো কেন পাঠ্যবইয়ে থাকলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়’।
হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীদের হাতে ইসলামবিদ্বেষী এসব বই-পুস্তক তুলে দেয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, পুরো একটা জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এহেন গুরুতর অপকর্ম করেছে তাদের সামনে আনা হোক। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
বিবৃতিতে তারা শিক্ষা সিলেবাসে থাকা ইসলামবিরোধী বিষয়গুলোসহ অসঙ্গতিপূর্ণ সকল বিষয় বাতিল করে নতুন সিলেবাস প্রণয়ণের দাবি জানান। এই সিলেবাসে এক দিনও পাঠদান আমরা মেনে নিতে পারি না বলেও মন্তব্য করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলামের মামলায় কারাবন্দী আলেম-ওলামাদের আদালতে হাজির করার সময় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ডান্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে। এই ঘটনা শুধু অমানবিক যে তা নয়, বেআইনিও। এইভাবে আলেমদের লাঞ্ছিত করা কারো জন্য শুভ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।