" />
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপযাপন করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)।
মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে বিএসএমএমইউর বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউর সি ব্লকের সামনে নির্মিত পুষ্পস্তবক অর্পণের বেদীসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির শুভ উদ্বোধন করেন মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমাদের অঙ্গীকার হলো প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিএসএমএমইউর চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্যই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হলেও বাঙালি জাতি বিজয়ের মুক্তির স্বাদ পায় ১০ জানুয়ারি। দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুই পুনর্গঠন করেছিলেন। স্বাস্থ্যখাতের আজকের সকল অগ্রগতির মূলে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবদান। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডালার। বাৎষরিক বাজেট ছয় লক্ষধিক কোটি টাকা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল বাস্তায়ন হয়েছে। দারিদ্র্যসীমা ২০ শতাংশের মতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় রয়েছেন বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে ।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ যেমন নিরাপদ থাকবে তেমন উন্নয়নের ধারাও অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচীতে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডিন মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার স্বপন কুমার তপাদার, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট এএম মোস্তফা জামান, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন শাহ, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, ডিনেরা, বিভাগীয় চেয়ারম্যানেরা, শিক্ষক, অফিস প্রধানেরা, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স-ব্রাদার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।