" /> উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে : প্রধানমন্ত্রী – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে : প্রধানমন্ত্রী

719133 195 1

8 / 100

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো (উন্নয়ন) কাজের জন্য যাই তখন চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়… আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমস্ত প্রকল্প শেষ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৯ জানুয়ারি) তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় এমআরটি রুটটি বিজয় সরণির মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য নকশা করা হয়েছিল।

তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি এটির সাথে চলতাম তবে আমাদের তেজগাঁও বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিতে হতো, যেখানে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। আমি সেই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী করেছিলাম।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যায় কুর্মিটোলায় ঢাকা বিমানবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব ত্রাণ তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল।

তিনি আরো বলেন, যে প্ল্যানেটোরিয়ামের (বিজয় সরণিতে) গম্বুজটির মূল নকশা থেকে অনেক বেশি উচু ছিল। আমরা সেই উচ্চতা কমিয়েছি। যদি উচ্চতা ৬০ থেকে ৭০ ফুটের বেশি হয়, তবে এটি বিমানবন্দর ফানেলের (তেজগাঁও বিমানবন্দরের) অধীনে আসবে।’

তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেন, পুরনো অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করা হলে সরকারকে ২২টি ভবন ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি খামার বাড়ি এলাকা ব্যবহার করে নতুন রুট প্রস্তাব করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, সেই সময়, মেট্রোরেলের বাঁক ও ও অবতরণের জায়গার জন্য কমলাপুর স্টেশন ভেঙ্গে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে এত বড় ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙ্গে আরেকটি নির্মাণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কিভাবে আমরা (কমলাপুর) স্টেশনটি অক্ষত রেখে এগিয়ে যেতে পারি। প্রয়োজনে মেট্রোরেল স্টেশনের ওপর দিয়ে যাবে বা বাঁক নেয়ার জন্য অন্য জায়গা খুঁজবো। তখন এটি সেভাবে করা হয়।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, মেট্রোরেল প্রকল্পটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল এবং বলেছিল যে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশকে ধ্বংস করবে।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে মেট্রোরেলের কারণে কোনো ঝামেলা হবে না। কারণ এটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি কোণ দিয়ে যাবে।’

হলি আর্টিজান হামলার পর মেট্রোরেল প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়, যাতে প্রকল্পের সাথে জড়িত সাত জাপানি নাগরিক নিহত হয়।

তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে, সব জাপানি তাদের স্বদেশে ফিরে গিয়েছিল। আমি তৎকালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে সমবেদনা জানিয়েছিলাম এবং জাপান সফরে গিয়ে আমি সাতজন নিহত জাপানি কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছি।

পরে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন মেট্রোরেলের কাজ আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সেই সময়ে, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করে কাজটি ধীরে ধীরে এগিয়েছিল।’

শেখ হাসিনা মেট্রোরেল সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সতর্কতা ও মননশীলতার সাথে ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি সকলকে সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করব। কারণ এটি সমগ্র দেশ ও জনগণের সম্পদ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য সরকার একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করছে।

সূত্র : ইউএনবি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা