" />
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে শিক্ষক মোনারুল ইসলাম (৩৫)কে গাছের সঙ্গে বেধে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাতেই নিহতের স্ত্রী আনজুমান প্রিয়া বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই প্রেমিকা ও তার মাকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো আন্দিকুমড়া গ্রামের মাহাবুবুল আলম ওরফে বাবু’র স্ত্রী জেরিন আক্তার(১৬)ও তার মা মাকছুদা বেগম(৪৭)। সে নওদাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোনারুল ইসলামের মৃত্যু হয়। নিহত ওই শিক্ষক মোনারুল উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে। সে ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত প্রতিভা কিন্ডার গার্ডেন কেজি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক মোনারুল ইসলাম ওই প্রতিভা কিন্ডার গার্ডেন কেজি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করার একপর্যায়ে জেরিন আক্তার নামে ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও তাকে উত্যক্ত করছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ ডিসেম্বর ইসলামী জালসা উপলক্ষ্যে নওদাপাড়া গ্রামস্থ বাবার বাড়িতে আসে ওই ছাত্রী। কিন্তু ওইদিনগত রাতে সেখানে গিয়েও তাকে কু-প্রস্তাব দেয়ায় মোনারুলকে আটক করা হয়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির উঠানে থাকা গাছের সঙ্গে বেধে বেধড়ক মারধর করে ওই ছাত্রীর স্বজনরা। এতে মোনারুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমকে) ভর্তি করে দেয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত পৌণে ৩ টার দিকে মারা যায়।
সংশ্লিষ্ট শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২জনকে আটক করে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।