" /> ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ব্রাজিলে ফিরছেন বলসনারো ঈদের আগে ও পরে ৩ দিন সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে অটিজমে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পাচ্ছে ১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ জিয়াউর রহমান অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী এবার আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে বাংলাদেশ বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে বার্সেলোনার প্রস্তাবের অপেক্ষায় মেসি : রিপোর্ট নীলফামারীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ১৫ নারী পেলেন সেলাই মেশিন বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

718858 123

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতার মুক্তিতে বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

একইসাথে আপিল বিভাগ মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা শুনানির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় আদালত যে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন সেটা সঠিক হয়েছে কিনা তা ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগকে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে আপিল বিভাগে জামিনাদেশ বহাল থাকায় এজলাসে বসেছেন তার আইনজীবীরা। তারা জানিয়েছেন, আজ তাদের বেলবন্ড (জামিননামা) দাকিল করা হবে। এর ফলে আজই তারা মুক্তি পেতে পারেন। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

জানা গেছে, আপিল বিভাগের রোববারের কার্যতালিকার এক নম্বরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য ছিল। জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর।

আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন সগীর হোসেন লিওন। সাথে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মো: আসাদুজ্জামান, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মো: আক্তারুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী, মো: সগীর হোসেন লিওন, মনিরুজ্জামান আসাদ, মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগে বিএনপি দুই শীর্ষ নেতা জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় সুপ্রিম কোর্টে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট এবং মাজার গেট থেকে পরিচয় পত্র দেখে আদালতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির আদালত পক্ষে সামনেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

এর আগে বুধবার মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ঠিক করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। একই সাথে এ সময়ের মধ্যে মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা বেলবন্ড (জামিননামা) দাখিল করতে পারবেন না বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো: সেলিম ও বিচারপতি মো: রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরে ৪ জানুয়ারি জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। তবে আদালতের আদেশ না পাওয়ায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ডিবির কার্যালয় থেকে ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে চারবার জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে হাইকোর্টে জামিন করা হয়।

গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আসাদুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৫, ১২ ও ৯ ডিসেম্বর তিনটি আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

নয়া পল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা