" /> 'গ্রামে নারী শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখবে সুধীর কুমার ঘোষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়' – নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

‘গ্রামে নারী শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখবে সুধীর কুমার ঘোষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’

FB IMG 1673089096285

পাবনা প্রতিনিধিঃ ‘নারী শিক্ষায় এখনো পিছিয়ে গ্রামের মেয়েরা। সেই সাথে রয়েছে যুগোপযোগী ও আধুরিক পাঠদানের অভাব। শুধু ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। নৈতিকতা শিক্ষায় প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে মেয়েদের । এক্ষেত্রে গ্রামের নারী শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সুধীর কুমার ঘোষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।’

পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হাসামপুর গ্রামে সুধীর ঘোষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

শনিবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে স্কুল ভবনের উদ্বোধন করেন।

এবিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র ঘোষ তার বাবা প্রয়াত স্কুল শিক্ষক সুধীর চন্দ্র ঘোষের স্মৃতি ধরে রাখতে ও গ্রামের নারী শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

FB IMG 1673089085387

এবিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার ঘোষ, সুজানগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান প্রমুখ।

প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাগর কুমার দাস বলেন, ২০২১ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে ৬ জন শিক্ষক ও ৬২ জন ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১১ শিক্ষক ১৪০ জন ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে শনিবার বিদ্যালয়টির নবনির্মিত আধুনিক দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করা হয়।

প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমার বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তিনি আমৃত্যু শিক্ষকতার সাথে জড়িয়ে ছিলেন। তার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং এলাকার নারী শিক্ষার উন্নয়নে স্কুলটি বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেছি। যুগোপযোগী শিক্ষা বিস্তারে এই প্রতিষ্ঠান ভিন্নতা আনবে বলে বিশ্বাস রাখি।

সুভাষ চন্দ্র ঘোষের সহধর্মিণী লেখা ঘোষ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের এক সাথে পড়ালেখার কারনে অনেক পরিবার তাদের মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পিছিয়ে যান। এই ঝড়ে পড়া রোধেই মূলত মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া হলো। আশা করি যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে নারীরা সুশিক্ষিত হয়ে এগিয়ে যাবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, বর্তমানে গ্রাম ও শহর সব জায়গায় একই মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরপুর। কিন্তু গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে কারিগরী ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে। শুধু পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে যুগোপযোগী ও আধুনিকমানের শিক্ষা দানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি বিশ্বাস করি সুধীর ঘোষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রত্যন্ত এ গ্রামে নারীদের মধ্যে শিক্ষার আলোয় আলোকিত নারী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা