" />
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ তিন বছর স্থগিত থাকার পর শুরু হলো বিশ্ব সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’র আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে মনিপুরী, ক্লাসিক্যাল, রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
লিট ফেস্ট উদ্বোধন করেন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ, বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। এ সময় ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক ড. কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায ও আহসান আকবার উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, চার দিনের এই আয়োজনে থাকছে কথোপকথনের একটি বৈচিত্র্যময় মিশ্রণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সেশন, শিশু ও তরুণদের জন্য আকর্ষণীয় আয়োজন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাট্য, সংগীত এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের আয়োজন সাজানো হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ বলেন, আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। আমি ধারণা করছি এই আয়োজনের মাধ্যমে এমন কিছু দেখবো যা আমি জীবনেও দেখিনি। আমি মনে করি এই আয়োজনের শুরুটা বেশ চমকপ্রদ ছিল।
ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ বলেন, এরকম একটা আয়োজনে এসে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি কিন্তু একদিক দিয়ে বাংলাদেশি। আমার মায়ের বাড়ি গোপালগঞ্জ এবং বাবার বাড়ি বিক্রমপুর। আমি বাংলাদেশে বড় হয়েছি। আমি সবসময় বাংলাদেশের কথা বলি। বাংলাদেশের ভাষা খুব চমৎকার। বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষা দিন দিন আমার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।
ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক এবং বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, একজন লেখক যেমন নিভৃতে লেখেন, তেমনি একজন বিজ্ঞানী আইসলেশনে কাজ করেন। এখানে যারা উপস্থিত থেকে অংশ নিচ্ছেন তারা অনেক মূল্যবান। এখানে অনেক আলোচনা, বিতর্ক এবং সৃজনশীলতার স্ফুলিঙ্গ দেখা যাবে। কী হবে, কী ঘটবে আগে থেকে ধারণা করা খুব কঠিন। আমরা যখন জানি কিছু একটা হবে, তখন আলোচনা সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা আশা করি এই নব স্ফুলিঙ্গ এখানে জেগে উঠবে। কীভাবে জানি না, তবে হবে অবশ্যই।